নিজস্ব প্রতিবেদক: একে একে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর গুমর ফাঁস হচ্ছে। গ্রাহকদের সাথে প্রতারণার বিষয়টিও সামনে চলে আসছে। মন-ভুলানো বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতা টানলেও এখন বেরিয়ে আসছে ভিতরকার ঘাঁপলা।
গ্রাহকদের থেকে টাকা নিয়েও পণ্য ডেলিভারি না দেয়া ই-কমার্স প্লাটফর্ম ই-অরেঞ্জের দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এখন মাত্র ৩ কোটি ১২ লাখ ১৪ হাজার ৩৫৬ টাকা রয়েছে। আইনশৃঙ্ক্ষলা রক্ষাকারী বাহিনী গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে।
এ ছাড়া সিটি ব্যাংকের একটি ব্যাংক স্টেটমেন্ট থেকে জানা গেছে, এ বছরের ২০ জুলাই পর্যন্ত ই-অরেঞ্জের অ্যাকাউন্টে ৬২০ কোটি ৬৭ লাখ ২০ হাজার ৭২৯ টাকা জমা রাখা হয়। তবে, ইতোমধ্যেই আবার ৬২০ কোটি ৪৪ লাখ ৭১ হাজার ৯৯২ টাকা উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। বর্তমান ব্যাংক অ্যাকাউন্টটিতে মাত্র ২২ লাখ ৪৮ হাজার ৭৩৭ টাকা আছে।
ই-অরেঞ্জের গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল ও গুলশান থানায় ইতোমধ্যে দুটি মামলা হয়েছে। এর একটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির তেজগাঁও জোনাল টিমের পরিদর্শক শেখ লিয়াকত আলী জানান, ইতোমধ্যে ই-অরেঞ্জের দুটি ব্যাংক হিসাবের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে ও তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, জড়িতদের গ্রেফতারের অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
এর আগে, গত ১৭ আগস্ট ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও স্বামী মাশুকুর রহমানকে কারাগারে পাঠান ঢাকার এক আদালত। অন্যদিকে, গ্রাহকদের হেনস্তার ব্যাপারে ই–অরেঞ্জকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
নোটিশে বলা হয়, সংবাদমাধ্যম ও গ্রাহকদের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় জানতে পেরেছে, ই-অরেঞ্জ গ্রাহকদের থেকে টাকা নিয়েও পণ্য ডেলিভারি দেয়নি, যা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ ও পেনাল কোডের দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর বিরোধী।
সান নিউজ/এফএআর