নিজস্ব প্রতিবেদক : চালের দাম নিয়ন্ত্রণে কমানো হয়েছে ৩৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক। এতেও কমেনি চালের দাম। বরং ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা রোধ করা গেছে।
রোববার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমনই চিত্র পাওয়া গেছে। অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে বলে দেখা গেছে।
রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ ও মধুবাগ বাজার ঘুরে দেখা গেছে মিনিকেট কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৬২ টাকা, নাজিরশাইল ৬২ থেকে ৬৫ টাকা, আটাশ বালাম ৫০ থেকে ৫৪, পাইজাম ৫০ থেকে ৫৫, গুটি স্বর্ণা ৫০, চিনিগুড়া ৯০ থেকে ৯৫ টাকা ও বাসমতি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
চাল বিক্রেতা হালিম মিয়া বলেন, চাল আগের দামেই বিক্রি করছি, দাম কমেনি। শুনেছি শুল্ক কমানো হয়েছে। তবে বাজারে আমদানিকৃত চাল এখনও আসেনি। হয়তো চলতি সপ্তাহে আমদানিকৃত চাল বাজারে এলে দাম কিছুটা কমতে পারে। আমরা কম দামে কিনতে পারলে কম দামে বিক্রি করবো।
প্রসঙ্গত, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১২ আগস্ট আমদানিতে শুল্ক ৩৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর মধ্যে কাস্টম ডিউটি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি বিদ্যমান রেগুলেটরি ডিউটি বা আবগারি শুল্ক ২৫ শতাংশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্যান্য ১.৭৫ শতাংশসহ মোট ৩৬.৭৫ শতাংশ শুল্ক কমানো হয়েছে। ছাড়কৃত শুল্ক-কর বাদ দিলে চাল আমদানিতে ২৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ বহাল থাকবে।
বাজারে কেজি প্রতি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৭৮ টাকায়, বোতলজাত সয়াবিন তেল (পাঁচ লিটার) ৭১০ থেকে ৭১২ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, রসুন ১১০ থেকে ১২০, আদা ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা কমে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির বাজার আগের মতো স্থিতিশীল রয়েছে। মুরগীর দাম না বাড়লেও বেড়েছে ডিমের দাম। ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকায়।
সাননিউজ/এমএইচ