নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে বিদেশি ও নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশিদের (এনআরবি) বিনিয়োগ বাড়াতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শহর নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, লস এ্যাঞ্জেলেস ও সিলিকন ভ্যালিতে ২৬ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত ৭ দিনব্যাপী ‘দি রাইজ অব বেঙ্গল টাইগার: পটেনশিয়াল অব বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট’ শীর্ষক রোডশো অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ও দেশের পুঁজিবাজারকে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় স্থান হিসাবে তুলে ধরতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও শহরে ধারাবাহিকভাবে রোডশো আয়োজনের পরিকল্পনা করে বাংলাদেশ সিকিউরিটজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)। তারই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে এই রোডশোর আয়োজন করা হয়।
এতে বাংলাদেশের শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বিনিয়োগের সম্ভাবনা, বিনিয়োগের সুযোগ, এনআরবি এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সহজলভ্য সুবিধা, পণ্য ও পরিষেবাদি তুলে ধরা হয়। এর আগে দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে গত ৯ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে আয়োজিত প্রথম রোডশোটি সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়। দুবাইয়ে রোডশোর পর পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বিএসইসি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলি রুবায়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি দল এই রোড শোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র সফর রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প খাত ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আব্দুর রউফ তালুকদার, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ইকোনমিক রিলেশান্স ডিপার্টমেন্টের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভলপমেন্ট অথরিটির (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোনস অথরিটির (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম, গ্লোব সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ড. ফজলে সাদিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা রোডশোতে অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে।
তা ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।
বর্তমান পুঁজিবাজারে শেয়ার কেনাবেচায় যে বেনেফিসিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট (বিও) রয়েছে, তার মাত্র ৬ শতাংশ এনআরবি ও বিদেশিদের। আর প্রায় ৯৪ শতাংশই দেশিয় বিনিয়োগকারীর, যার মধ্যে ব্যক্তিগত অ্যকাউন্টই বেশি। পুঁজিবাজারে বিদেশিদের বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও সহজে বিনিয়োগের জন্য কমিশন ডিজিটাল বুথ খোলার বিষয়ে নীতিমালা জারি করেছে। দুবাইতে ইতোমধ্যে ডিজিটাল বুথ খোলা হয়েছে। বিভিন্ন দেশে এভাবে ডিজিটাল বুথ চালু হলে এনআরবিসহ বিদেশিরা সহজে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবে। এতে করে পুঁজিবাজারে বিদেশি অর্থপ্রবাহ বাড়বে।
বিদেশে অবস্থানরত নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশিদের (এনআরবি) পাঠানো রেমিট্যান্স বিনিয়োগে রূপান্তর করতে চায় কমিশন, সেই ক্ষেত্রে পুঁজিবাজার হতে পারে ভালো জায়গা। কমিশনের এক কর্মকর্তা এ বিষয়ে বলেন, প্রবাসীরা অর্জিত অর্থ পাঠায়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এ অর্থ নতুন বাড়ি বানিয়ে শেষ করে। কিন্তু সেটা বিনিয়োগে রূপান্তর করা গেলে তাদের আয়ের উৎস বাড়বে। কমিশন সে বিষয়টির উপর জোর দিচ্ছে।
এর আগে ২০১৯ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে কৌশলগত অংশীদার হিসাবে বিনিয়োগ করেছে চীনের সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ ও শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ।
সান নিউজ/এফএআর