নিজস্ব প্রতিবেদক : কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, উৎপাদন ও সার্ভিস সেক্টরে প্রতিবছর প্রায় ১০ লাখ লোকের চাহিদা রয়েছে। ওই চাহিদা পূরণে দক্ষকর্মী ও ব্যবস্থাপক তৈরিতে পাবলিক সেক্টরকে সমন্বিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
রোববার (১ আগস্ট) দক্ষকর্মী ও ব্যবস্থাপক তৈরি সংক্রান্ত একটি ভার্চুয়াল পলিসি ডায়ালগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, উৎপাদন ও সার্ভিস সেক্টরে প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ লোকের চাহিদা আছে। ট্রেনিং একাডেমিসহ সব সেক্টরে যেসব গ্যাপ রয়েছে সেগুলো নিয়ে কাজ করতে কারিগরি শিক্ষা বিভাগ ইতোমধ্যে বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে। দক্ষকর্মী ও ব্যবস্থাপক তৈরিতে পাবলিক-প্রাইভেট সমন্বিতভাবে এগোতে হবে। এফবিসিসিআইসহ সব সেক্টরকে সমন্বিত করতে পারলে প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য পূরণ ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সক্ষম হব আমরা।
এ সময় তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ডাটাবেজের অভাব, কারিগরি শিক্ষা মূল্যায়নে সীমাবদ্ধতা, মাস্টার ট্রেইনারের অভাবসহ বেশকিছু সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করেন। এফবিসিসিআইসহ সব সেক্টরকে সমন্বিত হয়ে খাত ভিত্তিক গ্যাপ উত্তরণে কাজ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
উন্নয়নশীল দেশের উপযোগী অর্থনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দক্ষকর্মী ও ব্যবস্থাপক তৈরির বিষয়ে প্রস্তাবনা বা সুপারিশ তৈরির উদ্যোগ নেওয়ায় কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরকে ধন্যবাদ জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে ব্যাপক ডিজিটালাইজেশন হয়েছে। ফলে নতুন নতুন উদ্ভাবনী অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এরই সঙ্গে প্রয়োজনীয় দক্ষকর্মী সরবরাহের জন্য আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার কাঠামোগত পরিবর্তন এখন মূল চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী করে দেশের কর্মক্ষম জনবলকে অবশ্যই প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
তিনি বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দক্ষকর্মীর পাশাপাশি দক্ষ ব্যবস্থাপক তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। এজন্য আমাদের নীডবেজ স্পেশালাইজেশন দরকার। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিশেষ খাতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করা যেতে পারে। সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে আরও গতিশীল করতে যথাযথ প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। প্রয়োজনে সুনির্দিষ্ট প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে বিদেশ থেকে মানসম্মত ট্রেইনার আনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আবু নাসের। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।
সাননিউজ/এমএইচ