বাণিজ্য

কারওয়ান বাজারে বেড়েছে বেচাকেনা

নিজস্ব প্রতিবেদক : পোশাক কারখানাসহ রফতানিমুখী শিল্পকারখানা খোলায় কারওয়ান বাজারে বেচাকেনা বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গার্মেন্টস ও কিছু অফিস খোলার কারণে মানুষ বাজারে আসছে বলে জানায় বিক্রেতারা।

বিক্রেতাদের দাবি, কঠোর বিধিনিষেধে ক্রেতা আগের চেয়ে কম ছিলো। তবে ঈদের আগে বিক্রি হয়েছে বেশি। আর ঈদের পরপরই তাদের বেচাকেনা কম হয়েছিল। কিন্তু শনিবার (৩১ জুলাই) থেকে রোববার (১ আগস্ট) পর্যন্ত কিছুটা বেড়েছে।

রূপগঞ্জ থেকে আসা শামসুদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘বিধিনিষেধ শুরুর দিকে ৪০-৫০ মণ সবজি বেচতে পারতাম। আর ঈদের আগে বিক্রি ভালো ছিল, তখন দৈনিক ৫০-৬০ মণ বিক্রি হতো। ঈদের পর থেকে বিক্রি কমেছিল। তবে গতকাল থেকে আবার ৫০-৬০ মণ সবজি বিক্রি করছি। আজও ৬০-৭০ মণ সবজি নিয়ে এসেছি বিক্রির জন্য।’

কারওয়ান বাজারে মূলত রাত ১০টার পর থেকে বিকিকিনি শুরু হয়। দিনেও বিক্রি হয়। কিন্তু আগের মতো গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে, গাদাগাদি অবস্থায় হাঁটাচলা করে, বিভিন্ন ধরনের যানবাহন নিয়ে শত শত মানুষের কেনাবেচার ব্যস্ততা চোখে পড়েনি। কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ীদের মুখে মাস্কও কম পরতে দেখা গেছে। মাস্ক না থাকায় অনেক ব্যবসায়ী জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।

বাজারের উত্তর দিকে লা-ভিঞ্চি হোটেলের গলি থেকে শুরু করে কারওয়ান বাজার সিটি করপোরেশন মার্কেট, ইত্তেফাক ভবন থেকে প্রথম আলোর অফিস পর্যন্ত এবং কিচেন মার্কেটের নিচে মাছের বাজারেও একই চিত্র দেখা যায়।

সেখানে কোনো ধরনের সচেতনতামূলক ব্যানার দেখা যায়নি। এমনকী সরকারি-বেসরকারি কোনো লোকও দেখা যায়নি, যারা ক্রেতা-বিক্রেতাদের দূরত্ব মেনে কাজ করতে সচেতন করবেন।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধে কারওয়ান বাজারে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা হয়ে আসছে।

আবদুর হামিদ মিয়া নামে এক বিক্রেতার কাছে সামাজিক দূরত্বের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রসঙ্গটি হেসে উড়িয়ে দেন। জানান, তাদের কিছু হবে না। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বাজারে মাস্ক পরা ভালো লাগে না।

মাছের পাইকারি বাজারের আফজাল মিয়া নামে এক বিক্রেতার কাছে বাজারের অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মাছ বাজারের অবস্থা খুবই খারাপ, মাছের দাম কমেনি। তবে বিক্রি কম ছিল। আজ মানুষ আসছে বিক্রিও বাড়ছে।’

এদিকে নূরজাহান চিকেন ব্রয়লারের মালিক নুরুন্নবী বলেন, ‘করোনার আগে দৈনিক প্রতি রাতে ৬০ হাজার টাকা আর দিনে ৪০ হাজার টাকা মিলে আগে লাখ টাকার মুরগি বিক্রি হলেও এখন ৩৫ থেকে ৫০ হাজার টাকার মুরগি বিক্রি হয় একদিনে।’

ফল বিক্রেতা সুলায়মান বলেন, ‘আগে তো নিয়মিত ফল বিক্রি করতে পারতাম ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। কঠোর লকডাউনের পরে সেদিকে অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। সাড়ে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হয় এখন।’

সাননিউজ/এমএইচ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

বোরো মৌসুমের ধান-চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বোরো মৌসুমে ধান, চাল ও গমের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করেছ...

'পার্ক ব্যবস্থাপনা প্রাণিবান্ধব ও দর্শনার্থীবান্ধব করতে হবে'

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পার্ক ব্যবস্থাপনাটা...

চীনা প্রতিষ্ঠানের ১৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সমঝোতা স্বাক্ষর

এবার বাংলাদেশে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে চীনভিত্তিক খ্যাত...

বিরলে রাস্তা নির্মাণ নিয়ে দন্দ্ব

দিনাজপুর বিরল উপজেলার ফরক্কাবাদ ইউনিয়নের তেঘরা মহেশপুর মৌজার সরকারপাড়ায় একটি...

চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের কথা বলতে গিয়ে কাঁদলেন প্রধান উপদেষ্টা

বিনিয়োগ সম্মেলনে ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে ক্ষুধা-দারিদ্র্যের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে...

দিনাজপুরে অংশ নেবে ১ লাখ ৮২ হাজার ৪১০ পরীক্ষার্থী

দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অ...

রাজনৈতিক বৈরিতা ঢাকা পড়েছে ভাগ-বাটোয়ারার ছায়ায়!

উপরে রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকলেও ভেতরে ভেতরে ‘অ...

ভারতের বিরুদ্ধে ডব্লিউটিওতে অভিযোগ জানাবে বাংলাদেশ

বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। এর ফলে বাংলাদেশের র...

চীনা প্রতিষ্ঠানের ১৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সমঝোতা স্বাক্ষর

এবার বাংলাদেশে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে চীনভিত্তিক খ্যাত...

'পার্ক ব্যবস্থাপনা প্রাণিবান্ধব ও দর্শনার্থীবান্ধব করতে হবে'

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পার্ক ব্যবস্থাপনাটা...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা