নিজস্ব প্রতিবেদক:
পবিত্র ঈদ উল ফিতরকে সামনে রেখে দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় পর খুলে দেওয়া হয়েছে দোকান-মার্কেট। তবে যেসব মার্কেট বা দোকান খোলা হচ্ছে তাদের বেশির ভাগই সরকারের দেওয়া শর্ত মেনে চলছে না।
তথ্য মতে, শর্তসাপেক্ষে মার্কেটের দোকান খোলা রাখার নির্দেশনা দেয়া হলেও অধিকাংশ জায়গায় মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। কিছু শোরুমের গেটে স্যানিটাইজার বা হাত জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা থাকলেও অধিকাংশ দোকানেই মানা হয়নি স্বাস্থ্যবিধি।
মার্কেটগুলোর ব্যবসায়ীরা বলছেন, সংকটের মধ্যে আমাদের দিন যাচ্ছে। এ মুহূর্তে সরকার যে ঘোষণা দিয়েছে তা কিছুটা হলেও আমাদের সংকট কাটাতে সহায়তা করবে। সরকারের বিধি নিষেধ মেনে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান চালু করেছি।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সহসভাপতি ও ঢাকা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি তৌফিক এহসান খান গণমাধ্যমকে বলেন, কিছু শপিংমল খুলছে। তবে অনেকে খুলছেন না। স্বাস্থ্যবিধি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা মেনে দোকানে বেচাকেনার কথা বলা হয়েছে সবাইকে।
তিনি বলেন, আগে কোনো দোকানে ১০ জনের সুযোগ থাকলে এখন ৫ জনের বেশি সুযোগ পাবে না। ক্রেতাদের দূরত্ব রাখতে মার্ক চিহ্ন দিতে হবে। ক্রেতা ও বিক্রয়কর্মীর দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। মাস্ক, জীবাণুনাশক বাধ্যতামূলক। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ মে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে দোকান ও শপিংমল ১০ মে থেকে খোলার কথা ঘোষণা করে সরকার। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখার কথা বলা হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার ক্রেতার নিজ এলাকার ২ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত শপিংমলে কেনাকাটা করতে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
এতে আরও বলা হয়, প্রত্যেক ক্রেতাকে নিজ পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স) সঙ্গে রাখতে হবে। করোনা পরিস্থিতিতে ঢাকা মহানগরীতে শপিংমল ও মার্কেট খোলা রাখার বিষয়ে ১৪টি নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি।
ডিএমপির নির্দেশনায় আরও বলা হয়, প্রতিটি শপিংমলের প্রবেশমুখে স্বয়ংক্রিয় জীবাণুনাশক টানেল বা চেম্বার স্থাপন করতে হবে এবং তাপমাত্রা মাপার জন্য থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এ ছাড়া প্রতিটি দোকানে পৃথকভাবে তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
সান নিউজ/ আরএইচ