জাহিদ রাকিব
ঈদের আনন্দ নেই শপিং মলগুলোতে। নেই বিক্রি, নেই ক্রেতাদের ভিড়। রাত পোহালেই ঈদ কিন্তু মার্কেটে ক্রেতার আনাগোনা খুবই কম। ক্রেতা আকর্ষণে এই ঈদের সময়ও পোশাকের দোকানগুলোতে ‘বিশেষ ছাড়’ স্টিকার লাগানো কিন্তু এতেও ক্রেতাদের দেখা মিলছে না। ফলে, লকডাউন শিথিল করার সুফল পাচ্ছে না পোশাক ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (২০ জুলাই) রাজধানী ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
কোরবানির ঈদের কেনাকাটার মূল আকর্ষণ থাকে কোরবানির পশু কেনাকে ঘিরে। পোশাকের বেচাকেনা এ ঈদে এমনিতেই কম। তবে, করোনার প্রভাবে সাধারণ বিক্রিও নেই মার্কেটগুলোতে। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ খুলেছে। তবে, বিক্রি একেবারেই নেই। সাধারণ সময়ের মতো অল্প কিছু বিক্রি হচ্ছে। অথচ সে পরিমাণ বিক্রি নেই কারো। ফলে, বড় রকমের বিপদের মধ্যে আছে ফ্যাশন হাউজগুলো।
সরেজমিনে রাজধানীতে দেখা যায়, গাউছিয়া, ঢাকা কলেজের উল্টো পাশের মার্কেট, নিউমার্কেট, মিরপুর ও বসুন্ধুরা শপিং মলগুলোতে ভিড় নেই একেবারেই। কোথাও কোথাও কিছু কাপড়ের দোকান খোলা দেখা গেছে।
এসব এলাকার ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এই ঈদের মৌসুমে অন্য সময় যে স্বাভাবিক বিক্রি হয় সেটুকুও হচ্ছে না। বিকালে ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতার আনাগোনা থাকলেও তেমন ভিড় নেই। এখানে জাহান ম্যানশনের পিংকি ফ্যাশন হাউজের স্বত্বাধিকারী মো. আশরাফুল বললেন, বিক্রি খুব ভালো না। সাধারণ সময়ের মতো বিক্রি হচ্ছে। ফলে দোকান ভাড়া দেওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে।
আড়ং-এর সায়েন্স ল্যাবরেটরি শাখায় গিয়ে দেখা যায়, ঈদ কালেকশন এলেও বিক্রি খুব কম। ঈদের সময় যেখানে এসব শোরুমে লাইন দিয়ে ঢুকতে হয় সেখানে মানুষের আনাগোনাই বেশ কম।
এখানকার বিক্রয় প্রতিনিধি জানালেন, বিক্রি খুব কম। সাধারণ সময়ের চাইতেও কম।
এদিকে, বসুন্ধরা শপিং মলে গিয়ে দেখা যায় ঈদের সময় যে পরিমাণ ক্রেতার ভিড় দেখা যায় তার ছিটেফোঁটাও নেই মার্কেটে। দোকানগুলোতে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ ‘বিশেষ ছাড়’-এর স্টিকার লাগিয়ে ক্রেতা আকর্ষণের চেষ্টা দেখা গেল। তা সত্ত্বেও মার্কেটে ক্রেতার আনাগোনা অন্যান্য মার্কেটের তুলনায় বেশি হলেও বিক্রি তেমন বেশি নয়।
ফুটপাতের বিক্রিও খুব ভালো না। ঢাকা কলেজের উল্টো পাশের ফুটপাতে শার্ট বিক্রি করেন জুয়েল। তিনি বললেন, রোজার ঈদে যে মাল তুলেছিলাম তার অর্ধেকই বিক্রি করতে পারিনি। আর এবার নতুন মাল তোলার তো সুযোগই পাইনি। যখন নতুন মাল দোকানে তোলার কথা, তখনই লকডাউন শুরু হয়েছে। রোজার ঈদে যে মাল তোলা ছিল তাই বিক্রি করছি।
সান নিউজ/জেআই/এফএআর