নিজস্ব প্রতিবেদক: আর্জেন্টাইন মেসি ও ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড় নেইমারকে পাঁচ লাখ টাকাতেও কেউ কিনছে না। ঢাকার হাটে তোলা রাজস্থান হারিয়ানা জাতের ছাগল দুটি নিয়ে এমন কথায় জানালেন বিক্রেতা টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার খামারি শাহীনুল ইসলাম।
তিনি জানান, মেসি ও নেইমারের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় রয়েছে দেশিয় খৈল, ভুট্টা, ভুষি ও গাছের পাতা। কালো রংয়ের মেসি ও নেইমার নামের ছাগল দুটি লম্বায় সাড়ে তিন ফুট আর উচ্চতায় প্রায় তিন ফুট ।
উপজেলার যদুরগাতি গ্রামের খামারি শাহীনুল ইসলাম বলেন, জেলার সবচেয়ে বড় ছাগল এ দুটি। তিন বছর ধরে আদর-যত্নে লালন-পালন করেছি। মেসি ও নেইমারকে দেশিয় খৈল, ভুট্টা, ভুষি ও গাছের পাতা খাওয়ানো হয়েছে। দুটির ওজন ১৮০ কেজি। সাড়ে ৫ লাখ টাকা দাম চাচ্ছি। তবে হাটে মেসি ও নেইমারের কাঙ্ক্ষিত দামে ক্রেতা না পাওয়ায় বিক্রি করা যায়নি।
তিনি বলেন, অনেকেই কোরবানির গরুর বিভিন্ন নাম রাখেন। ছাগল দুটি মোটাতাজা আর দেখতেও খুবই সুন্দর। তাই ছাগল দুটির আকর্ষণ বাড়াতে তাদের নাম জনপ্রিয় বিদেশি দুই ফুটবল তারকার নামে রেখেছি। স্থানীয় হাটে বিক্রি না হওয়ায় মেসি ও নেইমারকে ঢাকায় নিয়ে যাব।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. স্বপন দেবনাথ বলেন, রাজস্থান হারিয়ানা জাতের ছাগল দুটি উপজেলায় সবচেয়ে বড়। এই জাতের ছাগল অল্পসময়ে দ্রুত বর্ধনশীল হয়। খামারিও বেশি লাভ করতে পারেন। এ জাতের ছাগল মাংসের জন্য খামারিরা লালন-পালন করে থাকেন।
সান নিউজ/এফএআর