সান নিউজ ডেস্ক:
করোনাভাইরাসের মহামারিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লাকডাউন চলছে। কোথাও জরুরি অবস্থা আবার কোথাও কারফিউ। বন্ধ হয়ে গেছে শিল্প কারখানা, রেস্তোরা, দোকানপাট। কর্মহীন হয়ে বসে আছে অনেক প্রবাসী। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও গত এপ্রিল মাসে ১০৮ কোটি ১০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা বাংলাদেশি টাকায় ৯ হাজার ১৮৮ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে এসেছিল ১৪৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
প্রবাসীরা এসব টাকা পাঠিয়েছে বিভিন্ন ব্যাংক, এজেন্ট ব্যাংকিং, মোবাইলে আর্থিক সেবা-এমএফএস ও এনজিওদের মাধ্যমে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চে এসেছিলো ১২৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। গত বছর একই সময়ে এসেছিল ১৪৫ কোটি ৮৬ লাখ ডলার।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৩১১ কোটি ডলার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমানে বাংলাদেশি অনেক প্রবাসীর কাজ নেই। কিন্তু টাকা পাঠিয়েছে। কেউ ঋণ করে পাঠিয়েছে কেউবা জমানো টাকা থেকে পাঠিয়েছে। তারপরও এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে প্রবাসীরা।
বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়াতে বাজেটে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা ঘোষণা করার পর বেড়ে গিয়েছিলো প্রবাসী আয়। এবারের বাজেটেও এর জন্য ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। করোনার কারণে বড় আঘাত আসলো প্রবাসী আয়ে।