নিজস্ব প্রতিবেদক: অপরিশোধিত ও আংশিক পরিশোধিত সোনা আমদানি করতে পারবে ব্যবসায়ীরা। এসব পরিশোধনের পর বার ও কয়েন উৎপাদন করে রপ্তানি করতে পারবে। তা ছাড়া অলংকার তৈরি করে দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি করতে পারবে।
এ লক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত মাসে স্বর্ণ নীতিমালা-২০১৮ সংশোধন করেছে। সেই আলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সোনা পরিশোধনের জন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে অপরিশোধিত ও আংশিক পরিশোধিত সোনা আমদানির অনুমতি নেবে, সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
জানা যায়, দেশের প্রভাবশালী একটি শিল্প গ্রুপ গত বছর সোনা পরিশোধনের কারখানা স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুমতির জন্য আবেদন করলে এ কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়। সেই ধারাবাহিতায় স্বর্ণ নীতিমালা সংশোধন করার উদ্যোগ নেয়া হয়। এছাড়াও বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির একজন নেতাও সোনা পরিশোধনের কারখানা স্থাপনের অনুমতি চেয়ে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সোনা পরিশোধনের জন্য কারখানা স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে। অনুমোদনের শর্তানুযায়ী, নির্ধারিত স্থানে সোনা পরিশোধনগার স্থাপন করতে হবে। অন্যান্য সব ধরনের লাইসেন্সের পাশাপাশি সোনা পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানকে সরকার অনুমোদিত ব্যবসায়ী সংগঠনের বৈধ সদস্য হতে হবে।
অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানকে অপরিশোধিত ও আংশিক পরিশোধিত সোনা আমদানির জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আবেদন করতে হবে।
আমদানির অনুমতির জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের কাগজপত্র, হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন সনদ, মূসক নিবন্ধন, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্যপদের কপি, প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জীবনবৃত্তান্ত, পরিশোধনাগারের নির্ধারিত স্থানের মালিকানার দলিল ইত্যাদি জমা দিতে হবে। অনুমতি ফি বাবদ ৩০ লাখ টাকা জমা দিতে হবে। অনুমোদনের মেয়াদকাল হবে পাঁচ বছর। মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগে আবারও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতির নবায়ন নিতে হবে।
সাননিউজ/এফএআর