নিজস্ব প্রতিবেদক: অনলাইনে ভারতের চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসা সেবা নেয়ার বিষয়ে বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে বিজ্ঞাপন ও এর মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সোসাইটি ফর টেলিমেডিসিন ই-হেলথের (বিএসটিইএইচ) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইয়াদিয়া জামান এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।
তথ্য, স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্র ও অর্থসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) চেয়ারম্যান, হেলথ পোর্ট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন নোটিশকারী আইনজীবী।
তথ্য মন্ত্রণালয়কে নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে এবিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। আর হেলথ পোর্ট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
নোটিশে বলা হয়, ‘ঘরে বসে ইন্ডিয়ান ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন; আরও কম খরচে কোনো প্রকার টিকেট এবং ভিসার ঝামেলা ছাড়াই মাত্র ৩০০০ মাত্র ২০০০ টাকা ৬ই জুলাই পর্যন্ত প্রযোজ্য’ মর্মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত বিজ্ঞাপনটি বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের লঙ্ঘন।
ওই বিজ্ঞাপন ভারতীয় আইন ও বাংলাদেশ টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত নীতিমালার লঙ্ঘন। তাই এই বিজ্ঞাপন প্রচার ও প্রকাশ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
নোটিশে আরও বলা হয়, ভারতে অবস্থানরত ডাক্তারদের কাছে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দুই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা পাঠানো না হলে সেটা বাংলাদেশের প্রচলিত মানি লন্ডারিং আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। তাই বেআইনিভাবে টাকা পাঠানো বন্ধ করা প্রয়োজন।’
সান নিউজ/এমএম