নিজস্ব প্রতিবেদক: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত বন্ধ পাটকল বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে চালু করা হবে। আর পাটকল বন্ধের সময় যেসব শ্রমিক ছিলেন, তাঁরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজের সুযোগ পাবেন। পর্যায়ক্রমে সব শ্রমিককে পুনর্বাসন করা হবে বলেও জানান তিনি।
রোববার (২৭ জুন) রাজধানীর সচিবালয়ে শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২০-২১ এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর বা সংস্থার জন্য আগামী অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইতিমধ্যে ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) বন্ধ পাটকল দ্রুততম সময়ে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ভাড়া বা ইজারায় চালু করবে।
মন্ত্রী বলেন, পাট গুরুত্বপূর্ণ খাত। বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে বিশ্বের সেরা মানের পাট উৎপাদন করে। সে জন্য পাটের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার। পণ্য রপ্তানিতে চামড়াকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে পাট ও পাটজাত পণ্য। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি আয় হয়েছে ১০৬ কোটি ডলারের। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৩ দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি।
লোকসানের বোঝা বইতে না পেরে ২৫ পাটকলের ২৪ হাজার ৮৮৬ জন স্থায়ী শ্রমিককে স্বেচ্ছা অবসরে (গোল্ডেন হ্যান্ডশেক) পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করে গত বছরের ১ জুলাই পাটকল বন্ধ করে দেয় সরকার। তখন পাটকলগুলোতে বদলি শ্রমিক ছিলেন ২৩ হাজার ৮৪২ জন। দৈনিকভিত্তিক শ্রমিকের সংখ্যাও কম ছিল না, ৮ হাজার ৪৬৩ জন।
প্রসঙ্গত, বিজেএমসির আওতায় গত জুন পর্যন্ত ২৬টি পাটকলের মধ্যে চালু ছিল ২৫টি। এর মধ্যে ২২টি পাটকল ও ৩টি নন জুট কারখানা।
সাননিউজ/এফএআর