নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন শুরু হচ্ছে আগামীকাল সোমবার থেকে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে পুলিশ, বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি) ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা থাকবেন রাস্তায়। সেই লকডাউনের বাতাস ছড়িয়ে পড়ছে শেয়ারবাজারে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে রোববার বড় দরপতনে লেনদেন শুরু হয় দেশের দুই শেয়ারবাজারে। সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর পর থেকে ৮০ শতাংশের বেশি শেয়ার দর হারিয়ে কেনাবেচা হয়।
বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৭৮ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩৭০টি কেনাবেচায় এসেছে। এর মধ্যে মাত্র ৪৯টি দর বেড়ে কেনাবেচা হচ্ছিল। বিপরীতে দর হারিয়ে কেনাবেচা হচ্ছিল ৩০৬টি। এ সময় দর অপরিবর্তিত অবস্থায় কেনাবেচা হতে দেখা গেছে ১৫টি শেয়ারকে।
সিংহভাগ শেয়ারের দরপতনের কারণে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৮ পয়েন্ট হারিয়ে ৬ হাজার ২৪ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। এ সময় সূচক পতনের হার ছিল ১ দশমিক ১২ শতাংশ। যদিও ১১টা ১১ মিনিটে সূচকটি ৯১ পয়েন্ট হারিয়ে ৬০০০.৯৯ পয়েন্টে নেমেছিল।
পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ব্যাংক খাতের শেয়ারের দরপতনই সূচকের এতটা পতনের বড় কারণ। বেলা সাড়ে ১১টায় ব্যাংক খাতের কারণে সূচক কমেছিল ১৯ পয়েন্ট। ওষুধ ও রসায়ন খাতের কারণে ৯ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতের কারণে ৭ পয়েন্ট, বিবিধ খাতের কারণে প্রায় ৮ পয়েন্ট, আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কারণে প্রায় ৭ পয়েন্ট, বীমা খাতের কারণে সাড়ে ৪ পয়েন্ট সূচক হারিয়েছিল।
বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা জানান, তারা মনে করছেন এ দরপতনের কারণ নতুন করে দেশব্যাপী ‘লকডাউন’ ঘোষণার প্রভাব।
এদিকে এ খবরের প্রভাব পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, শেয়ারবাজারে সব খাতেরই সিংহভাগ শেয়ারের দরপতন হয়েছে। বড় খাতগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দরপতন হয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে। এ খাতের লেনদেন হওয়া ২২ শেয়ারের মধ্যে ২০টিই দর হারিয়ে কেনাবেচা হচ্ছে। গড়ে সব শেয়ার দর হারিয়েছে ২.১১ শতাংশ।
সাননিউজ/এফএআর