নিজস্ব প্রতিবেদক : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘একটি বিষয়ে আপনারা কনসার্ন, আমি নিজেও কনসার্ন। সেটা হলো আমাদের ভ্যাকসিনেশন, এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। করোনাভাইরাসের চলমান পরিস্থিতির মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব এটা আমাদের করতে হবে এবং সরকারের পক্ষ থেকে সেটা করা হচ্ছে। আপনারা শিগগিরই সেটার রেজাল্ট পাবেন।’
শনিবার (২৬ জুন) দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি ১৯তম অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও ২৩তম সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে অনলাইন ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় ভালোটাই প্রত্যাশা করি। এখনও আমাদের সেটাই প্রত্যাশা। আমাদের চলতি অর্থবছরে যে ধরনের প্রজেকশন ছিলো, সেগুলো কিন্তু আমরা এচিভ করতে পেরেছি। এটা অবিশ্বাস্য মনে হবে। সবচেয়ে কঠিন খাত হলো রেভিনিউ জেনারেশন, সেটাও আমাদের ১৭ শতাংশ গ্রোথ হয়েছে। ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভেও গ্রোথ আছে।’
তিনি বলেন, ‘যারা এক সময় বলেছিলেন রেমিট্যান্স আসবে না। বেচা-কেনা করে মানুষ দেশে চলে এসেছে বলে রেমিট্যান্স পাঠানোর মতো কেউ থাকবে না। কিন্তু সেগুলো সব সত্যি হয়নি। সত্যি হয়েছে যেটি তা হলো এদেশের মানুষ যারা বিদেশে আছেন প্রবাসী ভাই-বোনরা, তারা দেশকে ভালোবাসেন। দেশের জন্য দায়বদ্ধতায় তারা বিশ্বাস করেন। সেই দায়বদ্ধতার কারণে তারা সবকিছু মেনে নিয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ অব্যাহত রেখেছেন।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এক বছরে ২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা সব সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ। এমনটা আর কখনো হবে কিনা জানি না। আমাদের লোকজন বলেছিল আসবে না, শুধু না না না। আমরা ‘না না’ তে বিশ্বাস করি না। আল্লাহ আমাদের প্রতি সদয় ছিলেন। এবারও আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করব, তিনি আমাদের সুস্থ রাখবেন এবং আমাদের জীবন সুন্দর হবে।’
সাননিউজ/এমএইচ