বাণিজ্য ডেস্ক : করোনা সংক্রমণের মধ্যে বাগেরহাটে বড় বড় গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। আসন্ন কোরবানির হাটে ন্যায্যমূল্য পাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন তারা। তবে প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, খামারিদের শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
বাগেরহাটের ফকিরহাট কলকলিয়া গ্রামের খামারি শুকদেব মজুমদার। নিজের গাভির বাচ্চা কালুরাজের ওজন তিন বছরে পৌঁছেছে ১২০০ কেজিতে। গত বছর কোরবানির হাটে বিক্রি করতে পারেননি কালুরাজকে। তাই তার হতাশা কাটছে না এবারও।
কালুরাজের খাবারে প্রতিদিন তার খরচ হয় ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা। দেশীয় ফলমূল আর ঘাস-কুড়ো খাইয়ে এটাকে বড় করছেন পরিবারের সবাই মিলে। এলাকার মধ্যে সব থেকে বড় গরু কালুরাজকে দেখতে স্থানীয়দের ভিড় লেগেই থাকে।
শুধু কালুরাজকে নিয়ে নয়, এমন হতাশায় আছেন হিমালয়কে নিয়ে পার্শ্ববর্তী কাকুড়ী এলাকার নাজমুল মোল্লা এবং বাদশাকে নিয়ে মিঠুন রায়। এসব বড় গরুর ন্যায্যমূল্য পেতে সরকারি সহায়তা চান সবাই।
কালুরাজের সুবিধা-অসুবিধায় চিকিৎসা দেন পশু চিকিৎসক সুভাষ সাখারি।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান বলেন, গরু বিক্রি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশের কিছু নেই। সবাই মিলে চেষ্টা চলছে যাতে খামারিরা ন্যায্যমূল্য পান।
জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্যমতে, গোটা বাগেরহাট জেলায় কোরবানির জন্য ২৫ হাজার ৮৩১টি গরু এবং ১১ হাজার ১৫৪টি ছাগল ও ভেড়া প্রস্তুত রয়েছে।
সান নিউজ/এসএ