নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের সামিয়া শিপ রিসাইক্লিংয়ের কাছে দু'টি ব্যাংকের পাওনা ৫২ কোটি টাকা। ঋণের বিপরীতে পর্যাপ্ত বন্ধকী সম্পত্তি না থাকায় পাওনা আদায়ে শঙ্কিত ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের শীতলপুর এলাকার বাসিন্দা মো. সেকান্দার মিয়া দীর্ঘদিন ধরে শিপ ব্রেকিং খাতে স্ক্র্যাপ, প্লেটসহ জাহাজের মালামাল অকশনে কিনে বিক্রি করতেন।
২০১৫ থেকে ২০১৬ সালে এবি ব্যাংক পাহাড়তলী শাখা থেকে স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানির জন্য ঋণ সুবিধা নেয় সামিয়া শিপ রিসাইক্লিং। ঋণের শর্ত ছিল জাহাজ আমদানির পর তা স্ক্র্যাপ হিসেবে বিক্রি শেষে ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করবেন। কিন্তু প্রথম দিকে জাহাজ আমদানি শেষে ব্যাংকের টাকা পরিশোধ করলেও ২০১৬ সালে জাহাজ আমদানির পর ব্যাংকের টাকা শোধ করেনি।
বার বার তাগাদা দেওয়ার পরও ঋণের টাকা শোধ না করায় ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সামিয়া শিপ রিসাইক্লিংয়ের কর্ণধারদের লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করে ব্যাংক।
এরপরও ঋণ পরিশোধ না করায় অর্থঋণ আদালত ২০০৩ এর ১২ (৩) ধারা মোতাবেক প্রতিষ্ঠানটির বন্ধক রাখা ২৩ শতক সম্পত্তি নিলামে তুলে ব্যাংক। কিন্তু নিলামে কোন দরদাতা পাওয়া যায় নি।
এরপর প্রতিষ্ঠান কর্ণধারদের বিরুদ্ধে গত ৩১ মার্চ চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতে মামলা দায়ের করে ব্যাংক। মামলায় সামিয়া শিপ রিসাইক্লিংয়ের কাছে এবি ব্যাংকের পাওনা উল্লেখ করা হয়েছে ৪১ কোটি ৮৯ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫৪ টাকা। মামলায় সামিয়া শিপ রিসাইক্লিংয়ের ম্যানেজিং পার্টনার মো. সেকান্দার মিয়া, পার্টনার মোহাম্মদ মনজুর আলম, মো. সেকান্দারের স্ত্রী গোলজার বেগম এবং মনজুর আলমের স্ত্রী ফারজানা নূরকে বিবাদী করা হয়েছে।
ব্যবসার শুরু থেকে অর্থাৎ ২০১০ সাল থেকে স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানিতে ব্যাংক এশিয়া ভাটিয়ারি শাখা থেকে ঋণ সুবিধা নেয় সামিয়া শিপ রিসাইক্লিং। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির কাছে ব্যাংক এশিয়ার প্রায় ১০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।
এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার মো. সেকান্দার মিয়ার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে একাধিক বার ফোন করে ও ক্ষুদেবার্তা পাঠানোর পরও তিনি কোন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন নি।
সান নিউজ/এমএইচআর/এনএম