নিজস্ব প্রতিবেদক : লেনদেনগুলো এখন ম্যানুয়ালি হচ্ছে না, ডিজিটালে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে আজকের অর্থনৈতিক সংক্রান্ত সভায় একটি এজেন্ডা এবং ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির সভায় ১২টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
আগামী ছয় মাস থেকে এক বছরের মধ্যে মুদ্রা পাচার, মানি লন্ডারিংয়ের মতো ১৫টি আইন সংসদে আনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেগুলো সংসদে আনা হবে তার মধ্যে কিছু নতুন আইন এবং কিছু সংশোধনী। ১৪ তারিখে দুটি বিল আমি অলরেডি সংসদে নিয়ে গেছি। আমাদের লেনদেনগুলো ম্যানুয়াল না, এখন লেনদেন ডিজিটাল। এই লেনদেনগুলো আগে ম্যানুয়াল ছিল, সেগুলো ডিজিটাল পদ্ধতিতে নেয়ার জন্য একটি আইন, আরেকটি হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের একটি আইন নিয়ে এসেছি।’
মুদ্র পাচার নিয়ে তিনি বলেন, ‘মুদ্রা পাচার নিয়ে প্রথমে কিছু কাজ করা প্রয়োজন। আমরা সিস্টেম দিয়ে জানতে পারি কারা এগুলো করছে, সিস্টেম দিয়ে সেগুলো আইডেন্টিফাই করা হলে আমাদের ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে। দ্বিতীয়ত কী কী কারণে মুদ্রা পাচার হচ্ছে- একটি হচ্ছে আমাদের এখানে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা আরও বেশি করে বিদেশে মুদ্রা পাচারের চেষ্টা করে। আমরা যদি ইনভেস্টমেন্টের ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারি, তুলনামূলকভাবে যদি বেশি লাভ করার সুযোগ থাকে তাহলে কেউ বিদেশে টাকা দেবে না। এদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এরা অন্যায় করবে, আবার টাকা পাচার করার চেষ্টা করবে বিদেশে ব্যয় করার জন্য। আমরা চেষ্টা করব ওদেরকেও ট্র্যাক করে সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসতে এবং আইনি ব্যবস্থা নিতে।’
তিনি বলেন, ‘দেখেছি কীভাবে টাকা পাচার হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা এটি জানি। যারা টাকা পাচার করছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়, সেগুলো অনেক পেন্ডিং আছে। কিন্তু সেগুলো যদি দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায় তাহলে অনেককে অন্যায় থেকে বিরত রাখা যাবে। অনেকেই জেলে আছে, অপরাধ একটাই টাকা পাচার করেছে। তাদের লেনদেনে কোনো ব্যত্যয় ছিলে বলেই তারা জেলে।’
বিবিএস রিয়েল জিডিপির গ্রোথ জানাতে পারেনি- এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখনকার অবস্থা তো আপনারা জানেন। আগের অবস্থা এবং এখনকার অবস্থা এক নয়। এ সময়ে কাজ করাটা কঠিন, সঙ্গত কারণেই সময় বেশি লাগবে। তা আপনাদের মেনে নিতে হবে। তারপরও মনে করি পরিসংখ্যান ব্যুরো যেভাবে ছিল, সেভাবেই আছে। তারা সঠিকভাবে যথাসময়ে কাজটি করবে। সব কাজেই এখন কম-বেশি দেরি হচ্ছে। এটা পরিকল্পনার কাজ, আমার বিশ্বাস পরিকল্পনামন্ত্রী যথাসময়ে এটি আপনাদের অবহিত করবেন।’
সান নিউজ/এমএইচ