নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২০-২০২১ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে মোট তিন হাজার ৫১৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। যা ২০১৯–২০ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের চেয়ে ১৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি। এতে প্রায় সব বড় খাতের রপ্তানিকারকদের মুখে হাসি ফুটেছে।
এই হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
এতে দেখা যায়, গেল মে মাসে বাংলাদেশ ৩১০ কোটি ৮০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। যা গত বছরের মে মাসের তুলনায় ১১২ শতাংশ বেশি। এত প্রবৃদ্ধি বাড়ার কারণ, করোনার ধাক্কায় গত বছরের এপ্রিলের প্রথম তিন সপ্তাহ শিল্পকারখানা বন্ধ ছিল, তাই রপ্তানি তলানিতে নেমে যায়। পরের মাস থেকে আবার রপ্তানি বাড়তে থাকে। এই অবস্থায় দেখা দেয় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এ জন্য লকডাউন জারি হলেও শিল্পকারখানা চলছে। ফলে রপ্তানি বাড়ছে। তাতে গত এপ্রিলে রপ্তানিতে ৫০৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি হিমায়িত খাদ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, রাসায়নিক পণ্য, প্লাস্টিক পণ্য, চামড়াবিহীন জুতা ও প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাসে মোট ২ হাজার ৮৫৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১১ শতাংশ বেশি। অনেক দিন পর নিট পোশাকের মতো ওভেন পোশাকের রপ্তানিও বেড়েছে। নিট পোশাকের রপ্তানি সাড়ে ২০ এবং ওভেন পোশাকের রপ্তানি ১ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়েছে।
বিজিএমইএ’র পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইউরোপের দেশগুলো লকডাউন তুলে নিতে শুরু করেছে। তাই ক্রয়াদেশ আসছে। তবে আগের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে আরও কিছু সময় লাগবে। আশা করছি, আগামী অক্টোবরের পর থেকে পোশাক রপ্তানি ভালো অবস্থায় পৌঁছাবে।