নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল ফিতরের তিন দিনের ছুটি শেষে রোববার (১৬ মে) খুলেছে ব্যাংক-বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও শেয়ারবাজার। তবে মতিঝিল ব্যাংকপাড়ায় বিরাজ করছে ঈদের আমেজ। চিরচেনা প্রাণচাঞ্চল্য ও ব্যস্ততা নেই। তবে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
রাজধানীর ব্যাংকপাড়া মতিঝিল, দিলকুশা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। ব্যাংকগুলোতে কাজের চাপ কম থাকায় গল্প-গুজব আর ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন অনেকে। বাংলাদেশ ব্যাংকেরও একই চিত্র। তবে ব্যাংকের অন্যান্য কার্যক্রমের মতো লেনদেন কম থাকলেও সঞ্চয়পত্র কেনার গ্রাহকের ভিড় ছিল লক্ষ্য করার মতো।
বেসরকারি এক্সিম ব্যাংকের মতিঝিল শাখার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আজহার উদ্দিন জানান, আজ গ্রাহকের তেমন চাপ নেই। কারণ, ব্যাংক খুললেও ব্যবসা-বাণিজ্য, মার্কেট-দোকানপাট খোলেনি। এছাড়া অনেক শিল্প কারখানাও বন্ধ রয়েছে। এ কারণে অনেকটা ঢিলেঢালাভাবে ব্যাংক চলছে। পুরোদমে ব্যাংকিং লেনদেন চালু হতে এক সপ্তাহ লেগে যাবে বলে জানান এ ব্যাংকার।
এদিকে মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকে গিয়ে দেখা যায় সাধারণ লেনদেনের কাউন্টারগুলোতে তেমন ভিড় না থাকলেও সঞ্চয়পত্র কেনাবেচায় কাউন্টারে বেশ ভিড়।
মতিঝিল সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ঈদের পর আজ প্রথম অফিস। তবে এবার যেহেতু কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা ছিল তাই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
প্রথম দিন গ্রাহকদের ভিড় কম। তবে লেনদেন শুরু থেকেই সঞ্চয়পত্রের অনেক চাপ যাচ্ছে। অনেক গ্রাহক সঞ্চয়পত্র কিনতে এসেছেন। তাই সঞ্চয়পত্রের চাপ সামলাতে কর্মীরা হিমশিম খাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রাহকদের যথাসম্ভব সেবা দিয়ে যাচ্ছি। কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
সোনালী ব্যাংকে সঞ্চয়পত্র কিনতে আসা পারভিন আক্তার বলেন, ঈদের আগে অনেক ভিড় ছিল, তাই মনে করেছি আজকে প্রথম অফিস ভিড় কম থাকবে। কিন্তু না, এসে দেখি উল্টো চিত্র। সোয়া ১০টার দিকে লাইনে দাঁড়িয়েছি, ১ ঘণ্টাতেও কাজ শেষ করতে পারিনি।
সাধারণ নিয়মানুযায়ী, রমজান মাস ২৯ দিনে হিসেব করে ঈদুল ফিতরের ছুটি নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এবার করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মানুষকে কর্মস্থলে রাখতে বৃহস্পতিবার (১৩ মে) থেকে ছুটি ঘোষণা করে সরকার। তাই বুধবার (১২ মে, ২৯ রমজান) শেষ কর্মদিবস অফিস হয়ে বৃহস্পতিবার থেকে তিন দিনের ঈদের ছুটি শুরু হয়। শুক্রবার উদযাপিত হয় ঈদুল ফিতর। শনিবারও ছিল ঈদের ছুটি। যদিও সরকার ঘোষিত তিন দিনের মধ্যে শুক্র ও শনিবার দুদিনই ছিল সাপ্তাহিক ছুটি।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে চলমান বিধিনিষেধে সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে ব্যাংক। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে লেনদেন। এর পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করতে ব্যাংক খোলা থাকবে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। আর দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন চালু হয়েছে সকাল ১০টায়, চলবে বেলা দেড়টা পর্যন্ত।