নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনা সংকট কাটিয়ে উঠতে রপ্তানিকারকদের ঋণ সুবিধার্থে সরকারের ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বস্ত্র খাত।
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে প্রচ্ছন্ন রপ্তানিকারকদের এসএমই খাতের জন্য বরাদ্দকৃত ২০ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ থেকে তহবিল নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
তবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) খাতের জন্য ঘোষিত তহবিল থেকে বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী বস্ত্র খাত সুবিধা প্রাপ্য হবে না। কেননা, এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো অপেক্ষাকৃত বড়ো বিনিয়োগের হওয়ায় তারা এসএমই ঋণের আওতায় পড়বেন না।
এ বিষয়ে বস্ত্র খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সার্কুলার অনুযায়ী বস্ত্র খাত কার্যত সরকারের প্রণোদনা-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এর ফলে করোনাভাইরাসে সৃষ্ট ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
উদ্যোক্তারা আরো বলেন, 'সরকারের রপ্তানি নীতি আদেশ অনুযায়ী, বস্ত্র খাতের অনেক প্রতিষ্ঠানই রপ্তানিকারক হিসেবে স্বীকৃত। ফলে তারা রপ্তানিকারকদের জন্য ঘোষিত ৫ হাজার কোটি টাকা থেকেই প্রণোদনার সুবিধা প্রাপ্য।'
বিটিএমএর সাবেক চেয়ারম্যান এ মতিন চৌধুরী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতা করতে চেয়েছেন। অথচ মন্ত্রণালয় উলটা-পালটা করে ফেলেছে। এসএমইর ঋণ কোথায় কী হারে বণ্টন হবে, তা ইতিমধ্যেই বলা আছে। বৃহৎ শিল্প হিসেবে সেখান থেকে তো বস্ত্র খাতের উদ্যোক্তাদের ঋণ পাওয়ার সুযোগ নেই। বস্ত্র খাতের রপ্তানিকারকদের পাশাপাশি স্থানীয় সরবরাহকারীরা বৈশাখ ও ঈদকেন্দ্রিক বাজারও পাচ্ছে না। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া না হলে বস্ত্র খাত বিপদে পড়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ইস্যুটি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগ জানিয়ে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছে বস্ত্র খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিটিএমএ। এতে রপ্তানি নীতি আদেশের বিদ্যমান ব্যাখ্যা তুলে ধরে বলা হয়, নতুন প্রজ্ঞাপনটি রপ্তানি নীতি আদেশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এর ফলে এ খাতের উদ্যোক্তাদের পক্ষে প্রণোদনার সুবিধা নেওয়ায় জটিলতা তৈরি হবে। আদেশটি তৈরি করার সময় সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা না করায় হতাশা প্রকাশ করা হয়।
সান নিউজ/ আরএইচ