নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা মহামারির মধ্যে নানা সঙ্কটে দেশ। গত বছর টানা দুইমাসেরও বেশি সময় লকডাউন থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্য প্রকারান্তরে বন্ধ হয়ে যায়। তবে এ সময়ে বিপণন বেড়েছে অনলাইনে। শুধু তাই নয়, করোনাকে কেন্দ্র করে দেশে হাজার হাজার ই-কমার্স, এফ-কমার্স প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এর সুফলও মিলেছে। অতি সম্প্রতি এই খাতে তৈরি হয়েছে প্রচুর উদ্যোক্তা। কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার বেকারের।
বর্তমানে চলছে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউন। তাই অনলাইনে কেনাকাটায় ঝুঁকছে ক্রেতারা। ফলে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর পণ্যভেদে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৩০০ শতাংশ।
সম্প্রতি ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) একটি জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, করোনাকালীন সময়ে যেখানে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে সেখানে ই-কমার্সের অনেক প্রতিষ্ঠান অতীতের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি ডেলিভারি দিয়েছে। নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে ৫০ হাজার মানুষের।
ই-ক্যাব সূত্র জানায়, করোনাকালীন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সবচেয়ে বেশি ভালো করেছে। নিত্যপণ্য ও খাদ্য ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষেত্রবিশেষ ৩০০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি করেছে।
২০১৯ সালেও দেশে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসার প্রবৃদ্ধি ছিল ২৫ শতাংশ। ২০২০ সালে এসে সেই প্রবৃদ্ধি ৭০ থেকে ৮০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
ই-ক্যাব জানায়, ২০২০ সালের শেষ ৮ মাসে ই-কমার্সে শুধুমাত্র নিত্যপণ্য লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকার। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি ডেলিভারি হচ্ছে।
সাননিউজ/আরএম/এসএম