মোহাম্মদ রুবেল: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত সোমবার থেকে সারাদেশে চলছে সাত দিনের লকডাউন। তবে এ লকডাউনে স্বল্প পরিসরেও হলেও দোকান খোলার দাবিতে দোকান মালিক সমিতির নেতৃত্বে রাজধানীতে আন্দোলনে নেমেছেন কর্মচারীরাও।
এ দাবিতে মঙ্গলবার ইস্টার্ন প্লাজা দোকান মালিক সমিতির নেতৃত্বে মালিক ও কর্মচারীরা মার্কেটের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন।
প্রসঙ্গত, সরকারের উপর মহলের আশ্বাস ছিল আজ থেকে স্বল্প পরিসরে হলেও মার্কেট খোলা রাখা যেতে পারে। এমন আশ্বাসে তারা সোমবার রাস্তা অবরোধ ছেড়ে দেন। কিন্তু আজ মার্কেট খুলতে না পারায় ফের রাস্তায় নেমেছেন ব্যবসায়ীরা।
ইস্টার্ন প্লাজা মার্কেটের সামনে অবস্থান নিয়ে দোকান মালিক সমিতির পরিচালক আলামিন মিয়াজি সান নিউজকে জানান, সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। তারা এর বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু সরকার কোনো কোনো খাতে ছাড় দিয়েছে। শুধু শপিংমল, মার্কেট ও দোকানপাটগুলো শতভাগ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা না রেখে এটা করা অন্যায়। দৈনিক অন্তত ৮ ঘণ্টার জন্য অর্থাৎ দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হলেও মার্কেট খোলা রাখার দাবি জানাচ্ছি। এ দাবি মেনে নিলে অন্তত দোকানের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়া যেত।
ব্যবসায়ীরা জানান, তারা সারা বছর ঈদের বেচাকেনার দিকে তাকিয়ে থাকেন। এ সময় এসে মার্কেট বন্ধের ঘোষণায় তারা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। তাদের জীবিকা বন্ধ হয়ে যাবে। এবছরও ঋণ করে ব্যবসা চালাচ্ছি, গত বছরের ঋণ এখনও পরিশোধ করতে পারিনি। আর এবারও যদি ঈদে ব্যবসা না করতে পারি তাহলে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে না খেয়ে মারা যেতে হবে।
আলামিন মিয়াজি এ প্রতিবেদককে আরও বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি ব্যবসায়ীরা শ্রদ্ধাশীল। আমরা সরকারের নির্দেশ নামোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলা রাখতে চাই। রমাজান মাসের শেষ ২০ দিন হলেও আমাদের মার্কেট খোলা রাখার অনুমতি দেয়া হোক।
সান নিউজ/এমআর/আরআই