নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ব্যাংকে কর্মরতদের জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ ও অবস্থানকালীন সময় বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরা, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানার উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। একই সাথে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
বুধবার (৩১ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। যা সকল তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, আগামী দুই সপ্তাহ এ নির্দেশনা পরিপালন করতে হবে।
এর আগে গত ২৯ মার্চ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার নতুন করে ১৮ দফা নির্দেশনা দেয়। এর মধ্যে ৬টি নির্দেশনা পরিপালন করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
১৮ দফার মধ্যে প্রজ্ঞাপনে (ক), (চ), (ড), (ণ) এবং (দ) যথাযথভাবে পরিপালন করতে নির্দেশনা দিয়েছে। পাশাপাশি ‘ঢ’ ক্রমিকে বর্ণিত সিদ্ধান্ত পরিপালনের ক্ষেত্রে কোভিড-১৯ এর বিদ্যমান পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করে জনবলের অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
সার্কুলার অনুযায়ী- সব ধরনের জনসমাগম (সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয়/অন্যান্য) সীমিত করতে হবে। উচ্চ সংক্রমণযুক্ত এলাকায় সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হলো। বিয়ে/জন্মদিনসহ যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে।
বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিন পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক (হোটেলে নিজ খরচে) কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। করোনায় আক্রান্ত/করোনার লক্ষণযুক্ত ব্যক্তির আইসোলেশন নিশ্চিত করতে হবে। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা অন্যদেরও কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে।
জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান শিল্প কারখানাগুলো ৫০ ভাগ জনবল দিয়ে পরিচালনা করতে হবে। গর্ভবতী, অসুস্থ, ৫৫ বছরের বেশি বয়সী কর্মকর্তা/কর্মচারীর বাড়িতে অবস্থান করে কর্মসম্পাদনের ব্যবস্থা নিতে হবে। সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা যথাসম্ভব অনলাইনে আয়োজনের ব্যবস্থা করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ এবং অবস্থানকালীন বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন নিশ্চিত করতে হবে।
সাননিউজ/আরএম/এম