নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে। ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের চলমান নির্দেশনায় অনেকটা আতঙ্ক দেখা গেছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। এ জন্য শেয়ার ছেড়ে দেয়ার প্রবণতা দেখা গেছে তাদের মধ্যে। ফলশ্রুতিতে বাজারে নেমে এসেছে পতন।
শব-ই-বরাতের একদিন বন্ধ শেষে বুধবার (৩১ মার্চ) উভয় বাজারে লেনদেন শুরু হয়। কিন্তু সূচকের ব্যাপক পতনে বিশেহারা বিনিয়োগকারীরা।
এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক বা ডিএসইএক্স কমেছে ৯৪ পয়েন্ট। ডিএসইতে টাকার অংকেও লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। একই অবস্থা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। এই বাজারে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৮৪ পয়েন্ট।
বাজার বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে টাকার পরিমাণে ৫৫৬ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে আগের দিন থেকে আজ ৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা কম লেনদেন হয়েছে। গতকাল লেনদেন হয়েছিল ৬৩৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকার।
এদিন ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ৯৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ২৭৮ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই৩০ সূচক ৪২ পয়েন্ট কমেছে এবং ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১৬ পয়েন্ট কমেছে।
বুধবার ডিএসইতে মোট ৩৪৮টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১টির, দর কমেছে ২৫৭টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৮০টি কোম্পানির।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৮৪ পয়েন্ট। সূচকটি ১৫ হাজার ২৮১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার।
সিএসইতে মোট ২২৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২২৯টির, দর কমেছে ১৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৭টির।
এদিকে বাজারের ব্যাপক পতনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। তারা বলছে, অব্যাহত পতনে পুঁজি হারিয়ে প্রতিদিনই কেউ না কেউ সর্বশান্ত হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে বাজার এক সময় বিনিয়োগ সঙ্কটে ভুগবে।
সাননিউজ/আরএম/বিএস