নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র শবে বরাতকে সামনে রেখে সব ধরনের মুরগির দাম আরেক দফা বেড়েছে। ৩ দিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। একই অবস্থা লাল লেয়ার মুরগির বেলায়ও। অন্যদিকে কক মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
রোববার ( ২৮ মার্চ ) রামপুরা বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন বলেন, গত শুক্রবার ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করেছি ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। তা ১৬০ টাকায় বিক্রি করতে হয়েছে। এ ছাড়া লাল লেয়ার মুরগি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কক মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা কেজি দামে বিক্রি করতে হচ্ছ। গত সপ্তাহের শেষের দিকেও যা ছিল যথাক্রমে ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা।
মালিবাগ শান্তিনগর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. কাউছার মিয়া জানান, বড় বাজারের চেয়ে এলাকার বাজারে দাম আরও বাড়তি। রোববার ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করছি ১৬৫ টাকা কেজি। যা শুক্রবারে ১৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি করেছি। বেশি বেড়েছে লাল লেয়ারের দাম। লাল মুরগি আজ ২০০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। বৃহস্পতিবারও যা ১৯৫ থেকে ২০০ টাকা ছিল।
খুচরায় দাম বাড়ানো হয়নি। গত তিন দিনে পাইকারিতেই দাম বেড়ে গেছে। কারওয়ানবাজারের মুরগি ব্যবসায়ী মো. শাহদাত হোসেন বলেন, এবার রোজার অনেক আগেই দাম বাড়তি। তা ছাড়া সামনে শবেবরাত। এ সময় গরুর মাংসের চাহিদা বেশি থাকে। কিন্তু গরুর মাংসের দাম অনেক বেশি হওয়ায় এবার মুরগির চাহিদা বেড়েছে।
কিন্তু সে তুলনায় মুরগির সরবরাহ নেই বাজারে। সম্প্রতি যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় রাজধানীর বাজারগুলোয় মুরগি সরবরাহে তারতম্য ঘটেছে। তাই পাইকারিতে দাম বেড়ে গেছে। শনিবার পাইকারিতে আমাদেরই ব্রয়লার মুরগি কিনতে হয়েছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দামে।
তবে ব্যবসায়ীদের এসব ব্যাখ্যা মানতে নারাজ ভোক্তারা। কারওয়ানবাজারে আগত ক্রেতা মো. রইস উদ্দিন বলেন, এগুলো ব্যবসায়ীদের অজুহাত। গরুর মাংস কিনে খাওয়ার সামর্থ্য নেই আমাদের। তাই বাধ্য হয়ে মুরগি কিনতে হচ্ছে। আর এ সুযোগে দাম বাড়ানো হয়েছে। শবেবরাত কেন্দ্র করেই আরেক দফা দাম বাড়ানো হয়েছে। যেসব ব্যবসায়ী জনগণকে জিম্মি করে অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়ায়, তাদের শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন।
এদিকে পোলট্রি খামারিরা বলছেন, মুরগির দাম বাজারে বাড়লেও খামারে তেমন বাড়েনি। গাজীপুরের খামারি ও এমআর পোলট্রি এন্ড চিকসের কর্ণধার আহম্মেদ রাজু বলেন, মুরগির খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় খামার পর্যায়ে মুরগির দাম সামান্য বেড়েছে। কিন্তু বাজারে দামটা বেশিই বেড়েছে। ২৬ মার্চ উপলক্ষে যানবাহন চলাচল সীমিত থাকায় সরবরাহে ব্যঘাত ঘটতে পারে। সে জন্যও দাম বাড়তে পারে।
সান নিউজ/এসএ