নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের পুঁজিবাজার টালমাটাল এক সময় পার করছে। নানা পদক্ষেপেও ইতিবাচক ধারায় ফেরানো যাচ্ছে না। বরং নানামুখি পদক্ষেপের পর বাজারে সূচক ও লেনদেন কমছেই।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আয়োজিত 'স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী: বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের আলোকে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের অর্জন ও সম্ভাবনা' শীর্ষক আলোচনা সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন চেয়ারম্যানসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। গতকাল কিছুটা ভালো গেলেও বুধবার (২৪ মার্চ) পুঁজিবাজারে ব্যাপক পতন হয়েছে।
এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ব্যাপক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। একই সাথে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। কমেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর।
বাজার বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দিনশেষে ডিএসই এক্স বা প্রধান মূল্য সূচক আগের দিনের চেয়ে ৮৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩৩০ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২২১ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ৩৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ২৪ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৫৩ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৩ টির, দর কমেছে ২৩৪ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৯৬টির।
ডিএসইতে ৫৩০ কোটি ৩৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ৫০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৩১ কোটি ৬ লাখ টাকার।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৪৭.০৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৪২৪.৫৪ পয়েন্টে।
সিএসইতে ২২৩টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৩টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৪৯টির আর ৪১টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১৭৭ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সাননিউজ/আরএম/এম