নিজস্ব প্রতিবেদক : তফসিলি ব্যাংকের পর এবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নগদ লভ্যাংশের সীমা ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে যারা ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করবে তারাই শুধু ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিতে পারবে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করা যাবে।
সোমবার (২২ মার্চ) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশের সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ লভ্যাংশের হার ১৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে লভ্যাংশ ঘোষণায় নতুন নীতিমালা সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যে সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংরক্ষিত সম্পদ না রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ঘাটতি সমন্বয়ে সুবিধা ভোগ করছে, সে সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ সম্পদ সংরক্ষণের পূর্বে কোনও প্রকার ক্যাশ লভ্যাংশ ঘোষণা করবে না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে।
এতে আরও বলা হয়, যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকৃত ঋণের হার ১০ শতাংশের বেশি রয়েছে, সেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ব্যতীত কোনও প্রকার লভ্যাংশ ঘোষণা করবে না।
এছাড়া যে সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মূলধন পর্যাপ্ততা অনুপাত (সিএআর) ১০ শতাংশের কম এবং শ্রেণিকৃত ঋণের হার ১০ শতাংশের বেশি রয়েছে, সে সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোনও প্রকার লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে না। এসকল নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর করতে বলা হয়েছে।
গত ১৬ মার্চ তফসিলি ব্যাংকগুলোর লভ্যাংশ সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. আনোয়ারুল ইসলাম সাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছিল ব্যাংকগুলোর সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে। তবে এর মধ্যে নগদ ১৭.৫০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করা যাবে।
এরও আগে গত বছর ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে বলে নির্দেশনা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যেখানে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা ছিল।
সান নিউজ/এসএ