সান নিউজ ডেস্ক :
করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সেবা খাতের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ৩০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজের নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার (১২ এপ্রিল) প্রণোদনা তহবিলের এ নীতিমালা জারি করা হয়েছে। ঋণখেলাপি এবং তিনবারের বেশি ঋণ পুনঃতফসিল করেছেন এমন ব্যবসায়ীরা এই তহবিল থেকে ঋণ পাবেন না বলে বাংলাদেশে ব্যাংক শর্ত দিয়েছে।
এর আওতায় ব্যাংকগুলোর নিজস্ব উৎস থেকে মাত্র সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণ করবে। প্রতিটি ব্যাংকে গঠিত এ প্যাকেজের মেয়াদ হবে তিন বছর।
তবে একক গ্রাহকের অনুকূলে দেওয়া ঋণের বিপরীতে সরকার সর্বোচ্চ এক বছরের জন্য ভর্তুকি দেবে। এখান থেকে ঋণ নিয়ে কেউ আগের ঋণ সমন্বয় করতে পারবে না। ইতিপূর্বে খেলাপি হয়েছেন বা খেলাপি ঋণ তিনবারের বেশি পুনঃতফসিল করেছেন এরকম ব্যক্তি এখান থেকে ঋণ নিতে পারবেন না। ব্যবসা সম্প্রসারণ বা নতুন ব্যবসা চালুর জন্য এ তহবিলের আওতায় ঋণ দেওয়া যাবে না।
নীতিমালায় বলা হয়, এ ঋণ ব্যাংকগুলোর নিজস্ব ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী অনুমোদিত হতে হবে এবং প্রতিটি ঋণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে সম্মতি গ্রহণ করতে হবে। সরকার যে সুদ প্রদান করবে, তা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রদান করা হবে। এই তহবিল থেকে কোন ব্যাংক কত টাকা চলতি মূলধন পাবে, তা ওই ব্যাংকের ২০১৯ সালের এই দুই খাতে কী পরিমাণ ঋণ দিয়েছে, তার ওপর নির্ভর করবে।
নীতিমালা বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো নিজস্ব উৎস থেকে গ্রাহক পর্যায়ে সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেবে। আর ভর্তুকী হিসেবে পাবে আরও সাড়ে ৪ শতাংশ। এতে করে ব্যাংকগুলোর সুদ আয় হবে ৯ শতাংশ। ব্যাংকগুলো নিজস্ব ঋণ নীতিমালার আলোকে এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তবে প্রতিটি ঋণ বিতরণের আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে সম্মতিপত্র নিতে হবে। ভর্তুকীর টাকার জন্য আবেদন করতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগে। ব্যাংকগুলো কি পরিমাণ ঋণ দিতে পারবে তা করবে করবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ২০১৯ সালে এ খাতে কি পরিমাণ ঋণ দিয়েছে তার ওপর।
এতে আরও বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী প্যাকেজের আওতায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যাংকার গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে চলতি মূলধন ঋণ দেবে। গ্রাহক পর্যায়ে সহনীয় সুদহার কার্যকরের বর্তমানে চলমান ৯ শতাংশ সুদের মধ্যে সরকার ভর্তুকী হিসেবে দেবে সাড়ে ৪ শতাংশ।
করোনায় অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী মোট ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেন। এর মধ্যে শিল্প ও সেবা খাতের জন্য ঘোষিত ৩০ হাজার কোটি টাকার জন্য এই নীতিমালা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক।