নিজস্ব প্রতিনিধি,মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার চা বাগানগুলোতে বিভিন্ন ধর্মের আচার অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে শুরু হয়েছে নতুন বছরের চা পাতা উত্তোলনের কাজ।
সম্প্রতি কুলাউড়ার মেরিনা চা-বাগানের ৭ নং সেকশনে পূজা অর্চনা ও দোয়া-দুরুদ পাঠের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে চা পাতা উত্তোলনের উদ্বোধন করেন বাগান ব্যবস্থাপক রবিউল হাসান। এছাড়াও দিলদারপুর, ক্লিভডন চা-বাগানেও নানা উৎসবের মাধ্যমে নতুন বছরের চা পাতা উত্তোলনের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিপাতের পর চা বাগানগুলোর গাছে গাছে নতুন কুঁড়ি বেড় হতে শুরু করেছে। দু‘টি একটি কুঁড়ি বেড় হওয়া শুরু করলে চা শ্রমিকদের চোখে মুখে আনন্দের ঝিলিক দেখা দেয়। দীর্ঘ কয়েক মাস কর্মহীন থাকার পর তারা আবারও কাজে ফেরার আনন্দে বিভোর। এখন দু’টাকা বাড়তি রোজগারের আশায় হাজার হাজার চা শ্রমিক পরিবারগুলো এ ক্ষণের অপেক্ষায় থাকেন।
কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসে চা বাগানগুলোতে, চা পরিশোধন কারখানাগুলোতে আবার দিনরাত ভীষন গর্জন চলতে থাকে। কাঁচা চা পাতার মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠে কারখানা এলাকা। এখন দিবারাত্রি ব্যস্ততায় দিন কাটবে চা শ্রমিক ও কর্মচারী কর্মকর্তাদের। হাজার হাজার মেট্রিক টন চা উৎপাদন হবে এ কারখানাগুলোতে। পরে তা নিলামের মাধ্যমে দেশে বিদেশে বিক্রি করে আসবে বৈদেশিক মুদ্রা।
মেরিনা চা-বাগান বাগানের ব্যবস্থাপক রবিউল হাসান জানান, সারা বছর যাতে প্রচুর পাতা পাওয়া যায় এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকে এই জন্য আয়োজন করা হয় দোয়া-দুরুদ, চা বৃক্ষ পূজাসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান। নতুন মৌসুমের প্রথম চা পাতা উত্তোলন কাজের সূচনা করা হয়েছে।
পরে নতুন পাতাকে স্বাগত জানিয়ে চা শ্রমিকরা আনন্দে নাচে গানে মেতে উঠেন। এরপর বাগান কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে সবাইকে মিষ্টিমূখ করানো হয় এবং নগদ বকশিস দেওয়া হয়। এভাবে নতুন মৌসুমের চা উৎপাদন শুরু হলো বাকিটা সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার করুণার উপর নির্ভর করবে।
সান নিউজ/স্বপন দেব/এসএ