নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ১২ কোটি ডলার বা এক হাজার ২০ কোটি টাকা ঋণ পেতে যাচ্ছে। কৃষি ও মৎস্য খাতে উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে এই ঋণ সহায়তা দেবে সংস্থাটি।
বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় বিষয়টি অনুমোদন দেয়া হয়। সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয় থেকে বুধবার (১০ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কৃষি ও মৎস্য খাতে উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ অর্থ দেবে ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাটি।
বিশ্বব্যাংকের সহযোগী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) কাছ থেকে পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৫ বছর মেয়াদে এই অর্থ ঋণ হিসেবে পাবে বাংলাদেশ।
‘দ্য ক্লাইমেট স্মার্ট অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ, ড্রেন ও সেচ অবকাঠামো তৈরি এবং আধুনিকায়নের জন্য এই বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এর মাধ্যমে ১ লাখ ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ ও ড্রেন উন্নয়নে সহায়তা করা হবে। ফলে বন্যার কারণে ফসলের ক্ষতি ৬০ শতাংশ কমবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে ঝুঁকিতে থাকা ১ লাখ ৭০ হাজার দরিদ্র মানুষের আয় বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে প্রকল্পটি। সুবিধাভোগীদের অর্ধেকই হবেন নারী।
এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেমবন বলেন, বাংলাদেশের ৭০ শতাংশেরও বেশি মানুষ কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তারা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো হবে। এতে করে তাদের আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে জীবনমানের উন্নতি হবে।
প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের পরিবেশের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা দেয়া, নতুন শস্য নিয়ে পরীক্ষা এবং ফসল উৎপাদন পরবর্তী ব্যবস্থাপনাবিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
এ ছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলে ধান ও মাছ চাষে সহযোগিতা, কোল্ড স্টোরেজ সুবিধা এবং স্থানীয় বাজার উন্নয়নেও কাজ করা হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে।
প্রকল্প এলাকায় মাছচাষিদের ৪০ শতাংশ এবং ধানচাষিদের সাড়ে ৭ শতাংশ উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করছে বিশ্বব্যাংক।
বাংলাদেশে আর্থসামাজিক অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত ৩৩.৫ বিলিয়ন ডলার অর্থছাড় করেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী।
সান নিউজ/আরএম/আরআই