নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের শেয়ারহোল্ডারদের কত শতাংশ লভ্যাংশ দিতে পারবে, তা নির্ধারণ করে নতুন একটি নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জারি করা নীতিমালা অনুযায়ী, কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান কত লভ্যাংশ দিতে পারবে, তা তাদের মূলধন কাঠামোর ওপর নির্ভর করবে। তবে কোনো প্রতিষ্ঠান ১৫ শতাংশের বেশি নগদ লভ্যাংশ দিতে পারবে না।
করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে। যা সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলার অনুযায়ী যে সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংরক্ষিতব্য সংস্থান না রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ঘাটতি সমন্বয়ে ডিফারেল সুবিধা ভোগ করছে, সে সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ সংস্থান সংরক্ষণের পূর্বে কোন প্রকার নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করবে না।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে। শ্রেণিকৃত ঋণের হার ১০ শতাংশের বেশি হলে অনুমতি ছাড়া কোন প্রকার লভ্যাংশ ঘোষণা করা যাবে না।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিএআর বা ক্যাপিটাল অ্যাডকিয়্যুসি রেশিও (Capital Adequacy Ratio) ১০ শতাংশের কম এবং শ্রেণিকৃত ঋণের হার ১০ শতাংশের বেশি হলে লভ্যাংশ ঘোষণা করা যাবে না।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নগদ লভ্যাংশের হার ১৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
এর আগে ব্যাংকের শেয়ারধারীদের কত শতাংশ লভ্যাংশ দেয়া যাবে তা নির্ধারণ করে নীতিমালা ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংকগুলো নগদ ও বোনাস মিলিয়ে ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে পারবে।
সাননিউজ/আরএম/এম