নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্যাংকের আর্থিক সক্ষমতা এবং ব্যাংকের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের রিটার্নের বিষয়টি সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করে শেয়ারের বিপরীতে কত শতাংশ ডিভিডেন্ড বা লভ্যাংশ ঘোষণা করা যাবে তা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার প্রকাশ করেছে।
সার্কুলারটি সকল তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক হতে ইতিপূর্বে গৃহীত ডিফারেল সুবিধার অধীনে নয় বা বিবেচ্য পঞ্জিকাবর্ষে এরূপ কোন ধরনের ডিফারেল সুবিধা গ্রহণ ব্যতিরেকে যে সকল ব্যাংক ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে ২ দশমিক ৫ শতাংশ ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১৫ শতাংশ বা তার বেশি মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবে, সে সকল ব্যাংক তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদসহ মোট ৩০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।
এছাড়া ২ দমমিক ৫ শতাংশ ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফারসহ ন্যূনতম ১৩ দমমিক ৫ শতাংশ হতে অনূর্ধ্ব ১৫ শতাংশ মূলধন সংরক্ষণকারী ব্যাংক সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদসহ মোট ২৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, ১১ দশমিক ৮৭৫ শতাংশ মূলধন সংরক্ষণকারী ব্যাংক সর্বোচ্চ ৭ দশমিক ৫ শতাংশ নগদসহ মোট ১৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে। তবে ১১ দশমিক ৮৭৫ শতাংশের কম হলে ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা যাবে।
ন্যূনতম ১২ দশমিক ৫ শতাংশ বা তার বেশি মূলধন সংরক্ষণকারীরা সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ নগদসহ মোট ১২ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে। ১১ দশমিক ৮৭৫ শতাংশ হতে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ হলে ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ নগদসহ মোট ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।
সান নিউজ/আরএম/আরআই