নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি সপ্তাহের তিন কার্যদিবসসহ মোট ছয় কার্যদিবস পুঁজিবাজারে পতনে লেনদেন হচ্ছে। এতে 'চিন্তায়' পড়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এ সময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকেরও পতন হয়েছে।কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসই'র লেনদেন নেতিবাচক ছিলো। দিনশেষে প্রধান সূচক ডিএসই এক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৫৬৪ পয়েন্টে। আর শরিয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ২৪৬ পয়েন্টে। ডিএসই-৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ১০৯ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৫৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯০টির, দর কমেছে ১৪৭টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১১৮টির।
ডিএসইতে ৭০২ কোটি ৯৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ১৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭১৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকার।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ১৯৯ পয়েন্টে। সিএসইতে ২৪০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭১টির দর বেড়েছে, কমেছে ১০৯টির আর ৬০টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।সিএসইতে ১০০ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
এদিকে টানা দরপতনে চিন্তিত বিনিয়োগকারীরা। তারা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাজার বেশ স্থিতিশীল ছিলো। বাজার ওঠা-নামা করলেও উদ্বিগ্ন ছিলেন না তারা। কিন্তু ছয় কার্য দিবস বাজারে যে পতন হয়েছে তাতে চিন্তিত হওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে মূলত উত্থান শুরু হয় পুঁজিবাজারে। বাড়তে থাকে সূচক ও লেনদেন। ধারাবাহিক হাজার কোটি টাকার লেনদেন সর্বোচ্চ উঠে আড়াই হাজার কোটি টাকায়।
সম্প্রতি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুঁজিবাজারে তিন হাজার কোটি টাকা লেনদেনের প্রত্যয় ব্যক্ত করে। কিন্তু চলমান পতনে আশাহত হচ্ছেন স্টেকহোল্ডাররা।
বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শেয়ারের মূল্য সংশোধন হচ্ছে। তবে লেনদেন কমা নিয়ে তাদের মধ্যে মিশ্র ভাবনা রয়েছে।
সান নিউজ/আরএম/এসএস