সান নিউজ ডেস্ক:
যথাযথভাবে করোনাভাইরাস মোকাবেলা করতে পারলে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি আগের বছরের চেয়ে কিছুটা কমে ৭ দশমিক ৮ শতাংশে নামতে পারে। এসনটাই মনে করছে মনে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
আজ শুক্রবার প্রকাশিত এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক ২০২০ শীর্ষক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, দ্রুত বর্ধনশীল তৈরি পোশাক খাতের রফতানির বড় বাজারগুলো থেকে চাহিদা কমায় বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ৮ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমে ৭ দশমিক ৮ শতাংশে নামবে। তবে বিশ্বজুড়ে ভোক্তাদের মধ্যে আস্থার উন্নয়ন হলে ২০২১ সালে প্রবৃদ্ধি কিছুটা এগিয়ে ৮ শতাংশে উঠতে পারে বলে আশা করছে এডিবি।
এ ব্যাপারে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন পারকাশ এক বিবৃতিতে বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শ্লথ হলেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালোই করছে। তবে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর কারণে পতনের ঝুঁকি আছে। এডিবির প্রাথমিক প্রাক্কলন অনুযায়ী মহামারীর সামান্য প্রভাব পড়তে পারে এবং বাংলাদেশ দশমিক ২ শতাংশ থেকে দশমিক ৪ শতাংশ জিডিপি হারাতে পারে। অবশ্য বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে অর্থনীতির ক্ষতিও মারাত্মক হবে বলে সতর্ক করে সংস্থাটি।
এডিবি আশা করছে, আর্থিক প্রণোদনা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করবে। বর্ধনশীল অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও রেমিট্যান্সের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি জোরালো রয়েছে। উন্নয়ন খাতে সরকারের উচ্চ ব্যয়;তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) তেল ও নির্মাণসামগ্রীর আমদানি বৃদ্ধি; উপযোগী বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং রপ্তানি বাড়াতে সরকারের নীতি সহায়তার ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতি পাবে। তবে মহামারীর কারণে রফতানি চাহিদায় বিপর্যয়, ভোগ সংকোচন ও রেমিট্যান্স কমে গেলে এ প্রবণতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।