নিজস্ব প্রতিবেদক : রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের পর আপাতত মিলগুলোতে ব্যবহার হচ্ছে না কাঁচামাল। সরবরাহ বন্ধ থাকায় অবসর সময় কাটছে পাট শিল্পের সঙ্গে জড়িত মধ্যস্বত্বভোগীসহ পাট সরবরাহকারী ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ীক লেনদেন বন্ধ থাকায় ব্যাংক ঋণ পরিশোধসহ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সংশ্লিস্টরা।
এজন্য আর্থিক সুবিধা দিতে এবার বকেয়া ঋণ পরিশোধে তাদের হিসাব ব্লক বা বকেয়া ঋণের বিপরীতে সুদ বন্ধ করার পাশপাশি দুই বছরের মরাটরিয়াম বা সুদমুক্ত সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে বাকি ৮ বছরের সুদ আসলসহ ১০ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধের সুযোগ দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (৪ জানুয়ারি) এক প্রজ্ঞাপণের মাধ্যমে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রধানদের এ নির্দেশনা পাঠায়।
এর আগে গত ডিসেম্বরে এ বিষয়ে বৈঠক হওয়ার পর ১৭ ডিসেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন, বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশন প্রধানদের এ সংক্রান্ত বিষয়ে চিঠি পাঠায়।
এতে বলা হয়, পাট খাতের প্রতিটি কেসের গুণাগুণ বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ব্যাংক ঋণের সুদ বা মুনাফা ও প্রয়োজনে আসল বা এর কিছু অংশ ব্লক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে হবে। যাতে সুদ না বাড়ে। এসব ঋণ দুই বছরের মটারিয়াম বা সুদমুক্ত সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি ১০ বছরে ঋণ পরিশোধের সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
একইসঙ্গে এসব সুবিধা নিশ্চিতের পর পুনরায় ঋণ প্রদান করতে চাইলে সেক্ষেত্রে মটারিয়াম সুবিধা আরও এক বছর বাড়ানো যাবে বলেও বলা হয়।
উপসচিব কামরুল হক মারুফ স্বাক্ষরিত অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওই প্রজ্ঞাপণে আরও বলা হয়, জাতীয় অর্থনীতিতে পাট খাতের অবদান বিবেচনায় রেখে পাটখাতের ঋণগ্রহিতাদের ঋণ হিসাবের জন্য ব্লক সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে ২ শতাংশ ডাউন্ট পেমেন্ট নিশ্চিত করতে হবে। এসব সুবিধা ২০২০ সালের ৩০ জুনের পর থেকে নেওয়া ঋণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলেও জানায় মন্ত্রণালয়।
পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় বর্তমানে পাট ব্যবসায়ীদের ব্যাংক ঋণের পরিমাণ প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকা।
সান নিউজ/এসএম