নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে দেশের সব নিট পোশাক কারখানা আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে পোশাক-শিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)।
শুক্রবার (২৭মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেন সংগঠনের সভাপতি সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান। নির্দেশনায় বলা হয়, "বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণের যে ক্ষতিকর প্রভাব বাংলাদেশে পড়েছে, তা থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচানোই এ মুহূর্তে আমাদের সবার লক্ষ্য।
'মানুষ বাঁচলে শিল্প বাঁচবে এবং শিল্প বাঁচলে দেশ সমৃদ্ধ হবে।' এজন্যই দেশের স্বার্থে সরকার সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। বিকেএমইএ থেকেও গত ২৫ মার্চ চিঠিতে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।"
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, 'কারখানা ছুটির সময় শ্রমিকরা যিনি যেখানে অবস্থান করছেন, তিনি যেন সেখানেই অবস্থান করেন, তা নিশ্চিত করতে হবে কর্তৃপক্ষকে। তাদের বোঝাতে হবে, এটা কোনো ঈদ বা উৎসবের ছুটি নয়। তাই যিনি যেখানে অবস্থান করেন, তাকে সেখানেই থাকতে হবে।'
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'প্রধানমন্ত্রী রপ্তানিমুখী শিল্পকে করোনা আক্রান্ত অর্থনৈতিক মন্দা থেকে রক্ষার জন্য বিশাল প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা এই শিল্পখাতের জন্য প্রদান করেছেন।
এমন প্রেক্ষাপটে আমাদের কারণে কোনো শ্রমিকের যেন কোনো ক্ষতি না হয়, সেজন্য কোনোভাবেই আতঙ্কিত না হয়ে, দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে বিকেএমইএর সদস্যভুক্ত সব নিট পোশাক কারখানা আপাতত ৪ পর্যন্ত বন্ধ রাখার বিশেষ নির্দেশনা জারি করা হলো। কারখানা ছুটিকালীন কারখানার শ্রমিকরা যে যেখানে অবস্থান করছে সে যেন সেখানেই অবস্থান করে তা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের বুঝাতে হবে, এটা কোনো ঈদ বা উৎসবের ছুটি নয়। তাই যে যেখানে অবস্থান করছেন তাকে সেখানেই থাকতে হবে।'
শুক্রবার (২৭ মার্চ) পর্যন্ত সবশেষ হিসেব বলছে, বিশ্বের ১৯৯টি দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ১১২ জনে। আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ ৩৬ হাজার ৪৫৪ জন। অপরদিকে ১ লাখ ২৪ হাজার ৩৯৫ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৪৮ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। আর মারা গেছে সব মিলিয়ে ৫ জন।