নিজস্ব প্রতিবেদক : দিন দিন চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশে ব্যাপকভাবে গবাদি পশুর মাংস আমদানি হচ্ছে। দেশীয় বাজার থেকে তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় অভিজাত হোটেল, রেস্তোরাঁ ও সামাজিক অনুষ্ঠানেও চাহিদা বেড়েছে আমদানি হওয়া মাংসের।
সংশ্লিষ্টদের মতে, গবাদি পশুর মাংস আমদানি হওয়ায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দেশীয় খামারি ও গরু ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ, বাজারে খামারির গরুর চাহিদা কমে গেছে।
এদিকে মাংস আমদানিকারকরা জানান, বিদেশ থেকে গবাদি পশুর মাংস আমদানি ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয়েছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ৪৫ জনের মতো ব্যবসায়ী মাংস আমদানি করছেন। দেশে চাহিদা থাকায় আমদানিও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, শুরুতে ৩ থেকে ৪ হাজার টন মাংস আমদানি হতো। বর্তমানে তা বেড়ে ১০ থেকে ১১ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে। ভারত থেকেই অধিকাংশ মাংস আসে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও কোরিয়া থেকেও সীমিত পরিমাণে আমদানি করা হয়।
মাংস আমদানিকারক শামীম আহমেদ বলেন, বর্তমান পরিস্তিতির কারণে আমদানি করা মাংস কোয়ারেন্টাইন করতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিভিন্ন হোটেলে আমদানি করা মাংস বিক্রি হয়। চট্টগ্রামে আমদানি করা গবাদি পশুর মাংস মান পরীক্ষার প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে একটি ল্যাব রয়েছে।
এদিকে আমদানিকারক ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানান, ভারত থেকে গরুর মাংস আমদানি হচ্ছে না, শুধু মহিষের মাংসই আমদানি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রিয়াজুল হক বলেন, বছরে ৯ হাজার টন মাংস আমদানি হচ্ছে। মাংস আমদানি বন্ধ করতে চাইলে আরপিও প্রদান বন্ধ করতে হবে। যারা আমদানি করছে তারা শুল্ক দিয়ে আমদানি করছে। তবে দেশীয় খামারিদের স্বার্থে আমরা মাংস আমদানি নিরুসাহিত করছি।
রাজধানীর এক গরু ব্যবসায়ী জানান, আমদানি করা মাংস গরু, মহিষ না অন্য কোনো পশুর তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এতে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন। এসব মাংস বিভিন্ন হোটেলে কেজিপ্রতি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি করা করছে। তবে দেশীয় গরু ও মহিষের মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রি করতে না পারলে লোকসান গুনতে হয়।
সান নিউজ/এসএম/এস