নিজস্ব প্রতিবেদক : চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য এখনই আমাদের তৈরি হতে হবে। মানব সম্পদকে আধুনিক ও প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিত করে দেশে আমরা মানবসম্পদ পাঠিয়ে করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা সামলে নিতে পারবো।
শনিবার ( ১২ ডিসেম্বর) পোশাক কারখানা মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে বিজিএমইএর ৭টি প্রতিশ্রুতির ভার্চুয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক বিপদের মধ্যেও অসম্ভব সাহসী ভূমিকা দেখিয়েছেন আমাদের শ্রমিকরা। মালিকরাও অনেক সাহস দেখিয়েছেন। এক সময় ব্যবসা ভালো ছিল, এখন খারাপ যাচ্ছে। মালিকরা কিন্তু ব্যবসা ছেড়ে যাননি।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের বিশাল জনগোষ্ঠী যদি কর্মহীন হয়ে পড়ে, তাহলে সেটা বড় চিন্তার বিষয় কিন্তু আশার ব্যাপার আমরা যদি চিন্তা করি এবং গ্লোবাল কনসেপ্ট ধরি, বিশ্বের এমন অনেক দেশ আছে, যেখানে তারা মানুষ নিচ্ছে। আমরা আমাদের মানুষদের সম্পদ হিসেবে তৈরি করতে হবে ও সু শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে।
আমরা যদি বিশাল জনগোষ্ঠীকে আধুনিক বিজ্ঞান মনস্ক নতুন শিক্ষার মধ্যে নিয়ে আসতে পারি তাহলে বিশ্ববাজারে আমাদের জনগোষ্ঠী জনসম্পদ হিসেবে গণ্য হবে। অতএব আমি বলি না আমাদের ভয় পেতে হবে। আমাদের তৈরি থাকতে হবে। এই করোনা, পিছিয়ে পড়া চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সবকিছু মাথায় নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
পোশাক শিল্পে প্রয়োজনে আরও প্রণোদনা দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এই শিল্পের সঙ্গে ৪১ লাখ শ্রমিক জড়িত। বিশ্ববাজারে পোশাক খাত বাংলাদেশকে চিনিয়েছে। করোনার শুরুতে আমাদের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল তা থেকে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। আশা করেছিলাম এই বিপদ থেকে হয়তো উতরে গেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্য সেকেন্ড ওয়েভের কারণে সেই চিন্তাটা আবার জেঁকে বসেছে।
আমরা বিপদের পদধ্বনি শুনছি। করোনার শুরুতে যেটা (প্রণোদনা) দেওয়া হয়েছিল, সেটাকে রি-কনসিডার হয়তো করতে হতে পারে। হয়তো সাহায্য-সহযোগিতা বাড়াতে হতে পারে। মেয়াদ বাড়াতে হতে পারে। দরকার হলে আরও সাহায্য করতে হতে পারে। এগুলো পেলে হয়তো তারা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। এই ট্রেডকে আমাদের বাঁচাতেই হবে।
সান নিউজ/এসএ