নিজস্ব প্রতিনিধি, দিনাজপুর : চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে হিলি স্থলবন্দরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫০ কোটি টাকা বেশী রাজস্ব আহরণ হয়েছে। এ সময়ে বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮০ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আহরণ হয়েছে ১৩০ কোটি পাঁচ লাখ টাকা। যদিও অর্থবছরের নভেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ কোটি টাকা কম রাজস্ব আহরণ হয়েছে।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয় ৩১৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
এর বিপরীতে আহরণ হয় ৪৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা। আগস্ট মাসে ১৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ২০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, সেপ্টেম্বর মাসে ৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকার বিপরীতে ২০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, অক্টোবর মাসে ১৮ কোটি ৪১ লাখ টাকার বিপরীতে ১৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, নভেম্বর মাসে ৩১ কোটি ৬৩ লাখ টাকার বিপরীতে ২৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা আহরণ হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন বলেন, করোনার কারণে ২৫ মার্চ থেকে শুরু করে দীর্ঘ আড়াই মাস বন্ধের পর গত ৮ জুন স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি শুরু হয়। একইভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড শুরু হয়।
তিনি জানান, অন্যান্য বন্দর দিয়ে পণ্যের ওজন অনুযায়ী ফলের শুল্কায়ন করা হলেও হিলিতে ফল আমদানির ক্ষেত্রে ট্রাকের চাকা অনুযায়ী নির্দিষ্ট শুল্ক পরিশোধের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অন্যান্য বন্দরে যে মূল্যে শুল্কায়ন করা হয় একই পণ্য হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানির ক্ষেত্রে তার চেয়ে অধিক মূল্যে শুল্কায়ন করা হয়।
এছাড়াও এই বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে পণ্যের পরীক্ষণ, শুল্কায়ন ও ছাড়করণে দীর্ঘসূত্রতার অভিযোগও রয়েছে। এতে বন্দর দিয়ে ফল আমদানি একেবারে বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য অধিক শুল্কযুক্ত পণ্য আমদানিও কমে গেছে। এই বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে এসব জটিলতা নিরসন করা হলে ও একই নিয়ম-নীতির অধীনে সব বন্দর পরিচালনা করা হলে বন্দর থেকে আরও বেশি পরিমাণে রাজস্ব আহরণ সম্ভব।
আমদানিকৃত পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের দ্রুত ছাড়করণ দেওয়ার ব্যাপারে জোর দিয়েছি। একইসঙ্গে বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে খরচটি যেন কম হয় সে বিষয়ে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি। সবকিছু মিলিয়ে বন্দরের কার্যক্রম এখন স্বাভাবিক ও বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি যেন বাড়ে সে ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট আছি।
আর বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি রফতানি বাড়ার কারণে বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে। তিনি জানান, গত নভেম্বর মাস পর্যন্ত রাজস্ব আহরণের যে হিসেব তাতে করে গতবছরের চেয়ে ৫০ ভাগ বেশি রাজস্ব আহরণ করেছি।
সান নিউজ/এসএ