নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি প্রজনন মৌসুমে গত ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা নিষিদ্ধকালীন সময়ে মা-ইলিশ কর্তৃক মোট নিষিদ্ধ ডিমের পরিমাণ ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৬৫ কেজি। এর শতকরা ৫০ ভাগ হ্যাচিং ধরে এবং তার শতকরা ১০ ভাগ বাঁচার হার ধরে এ বছর প্রায় ৩৮ হাজার কোটি জাটকা ইলিশ পরিবারে যুক্ত হয়েছে।
চলতি বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে শতকরা ৫১ দশমিক ২ ভাগ মা-ইলিশ সম্পূর্ণভাবে ডিম দিয়েছে। যা অতীতের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) কর্তৃক পরিচালিত গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, যা গতবারের চেয়ে ১ হাজার কোটি বেশি। আর গত বছর ইলিশের প্রজনন সফলতা ছিল ৪৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। বিএফআরআই বলেছে, যেহেতু এ বছর ইলিশের প্রজনন সফলতা রেকর্ড গড়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই আগামী মৌসুমে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়বে বলে আশা করছি।
বিএফআরআইর এই গবেষণায় দেখা যায়, প্রজনন মৌসুমের ২২ দিন সব প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকায় প্রজন অঞ্চলে মা ইলিশের শতকরা হার ৮৮ থেকে ১০০ ভাগ পর্যন্ত বেড়েছে। ইলিশ প্রজনন অঞ্চলে প্রথম সপ্তাহে স্পেন্ট ইলিশের হার গড়ে ৮ শতাংশ থাকলেও শেষ সপ্তাহসহ সামগ্রিক হিসাব মিলিয়ে এ বছর স্পেন্ট ইলিশের হার গড়ে প্রায় ৫১.২ শতাংশ পাওয়া যায়।
তবে সম্পূর্ণ ডিম ছেড়ে দেওয়া এবং ডিম ছাড়ারত ইলিশের হিসাব শুধু প্রজননাঞ্চলে একত্রে বিবেচনা করলে সামগ্রিকভাবে এ বছর ইলিশ প্রজনন সফলতা ৮৩.৪ শতাংশ। গবেষণায় তথ্য মতে, অন্যান্য বারের মতো এবারও ইলিশ সবচেয়ে বেশি ডিম ছেড়েছে পটুয়াখালী উপকূল এলাকায়।
সেখানে ডিম ছাড়ার হার গড়ে ৭৫ শতাংশ। এরপরই রয়েছে ভোলার মনপুরায় ৬১ শতাংশ, কক্সবাজারে ৫০ শতাংশ ও চাঁদপুরে ৪১ শতাংশ। জরিপকালে ৩২ শতাংশ ইলিশ প্রজনন সক্ষম ছিল।
সান নিউজ/এসএ