নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভারত রফতানি বন্ধের আদেশ তুলে নেয়ায় দেশের বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। এদিকে বিশ্বজুড়ে চলছে করোনা আতঙ্ক। বিশ্ববাজার এর প্রভাবে টালমাটাল। এতো ঝুঁকির মধ্যেও সুখবর হলো নিত্য প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ ও রসুনের দাম কমতে শুরু করেছে। এরইমধ্যে পেঁয়াজের দাম কমে তিন ভাগের এক ভাগে চলে এসেছে।
১৩ মার্চ শুক্রবার কাওরান বাজারসহ রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমনটাই তথ্য পাওয়া গেছে। বেশিরভাগ খুচরা বাজারে ৪০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে দেশি পেঁয়াজ।
গত সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে বাজারে শাক-সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে বাড়তির দিকে রয়েছে চাল-তেল ও চিনির দাম।
রাজধানীর কাওরান বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা করে। গত সপ্তাহে এই পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০ টাকার কাছাকাছি।
বাজারে দেশি রসুনের দামও পর্যায়ক্রমে কমে এসেছে। প্রতিকেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। আগের সপ্তাহে এই রসুন ৮০ টাকা দরে কেজি বিক্রি হয়। এছাড়া আমদানিকৃত রসুন ১৮০ টাকা কেজির স্থলে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে।
পেঁয়াজের এই দাম কমার বিষয়ে ব্যবসায়ী আসাব আলী বলেন, পেঁয়াজের দাম অনেক দিন মানুষকে ভুগিয়েছে। তবে চাষিরা মার খাবেন। কারণ চাষিদের ধারণা ছিল পেঁয়াজের কেজি ৬০ টাকার ওপরে বিক্রি করতে পারবেন, কিন্তু এখন পেঁয়াজের কেজি ৩০ টাকার কাছাকাছি চলে এসেছে। সামনে পেঁয়াজের দাম আরও কমতে পারে।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী সহিদ বলেন, এখন পেঁয়াজের দাম প্রতিদিনই কমছে। আমাদের কাছে যে পেঁয়াজ আছে তা বেশি দামে কেনা। এই পেঁয়াজ ৫০ টাকার নিচে বিক্রি করার সুযোগ নেই।
এদিকে শব্জি বাজারের অবস্থা বেশ সহনীয় পর্যায়ে আছে। বাজারে গত সপ্তাহের মতোই করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। বরবটির কেজি ৮০-১০০ টাকা।
মাঝারি আকারের লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা পিস। শসা ২০-৩০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০, পাকা টমেটো ৩০-৪০, শিম ৩০-৪০, ফুলকপি-বাঁধাকপির পিস ৩০-৩৫, গাজর ২০-৩০, শালগম ২৫-৩০ টাকা। কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
এছাড়া মুলা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা করে। যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৩০-৩৫ টাকা।
গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা করে বিক্রি হওয়া বেগুন ১০/২০ টাকা কমে ৩০ টাকায় নেমেছে। পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজিতে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা কেজি।
সান নিউজ/সালি