নিজস্ব প্রতিবেদক : ২৩৬ কোটি টাকা বিদেশে পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগে এবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ২১ জন সাবেক, বর্তমান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)মামলা করেছে ।
বৃহস্পতিবার ( ২৬ নভেম্বর) দুদকের ৩ জন কর্মকর্তা বাদী হয়ে তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আরব আমিরাত ও সিঙ্গাপুরের তিনটি অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে লোন নিয়ে এবি ব্যাংকের মোট ২৩৬ কোটি টাকা পাচার ও আত্মসাৎ করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সেমাট সিটি জেনারেল ট্রেডিং, সিঙ্গাপুরের এটি জেড কমিউনিকেশনস পিটিই লিমিটেড ও ইউরোকারস হোল্ডিংস পিটিই লিমিটেড। এসব প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক হিসাব খোলার আগেই ব্যাংক লোন অনুমোদন করা হয়।
দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে প্রথম মামলা (নম্বর ২১) করেন। তাতে ১৬০ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিদেশে পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগে ২৩ জনকে আসামি করা হয়। তারমধ্যে ২১ জনই এবি ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তা।
তারা হলেন সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক, সাবেক এমডি মশিউর রহমান চৌধুরী, সাবেক পরিচালক এম এ আউয়াল, ফাহিম উল হক, মো. ইমতিয়াজ হোসেন, ফিরোজ আহমেদ, সৈয়দ আফজাল হাসান উদ্দিন, শিশির রঞ্জন বোস, বি বি সাহা রায় ও মো. মেজবাউল হক।
ডিএমডি সাজ্জাদ হোসেন, কর্মকর্তা মো. শাহজাহান, মো. আরিফ নেওয়াজ, কাজী আশিকুর রহমান, কাজী নাসিম আহমেদ, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সালমা আক্তার, শামীম আহমেদ চৌধুরী, মো. শাহজাহান, মো. আমিনুর রহমান ও সরফুদ্দিন আহমেদ। অপর দুই আসামি হলেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী এ এন এম তায়েবুর রশিদ ও মো. লোকমান হোসেন। লোকমান হোসেন তিন মামলায়ই ১ নম্বর আসামি।
দ্বিতীয় মামলায় বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক নারগিস সুলতানা। ৬০ কোটি ৪০ লাখ টাকা বিদেশে পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগে করা এ মামলায় আসামি ২৩ জন। আগের মামলার তায়েবুর রশিদ ছাড়া সবাই এবং নতুন আসামি যুক্ত হন ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দিন।
তৃতীয় মামলায় বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তার। ১৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা পাচার ও আত্মসাতের অভিযোগে করা এ মামলার আসামি ২০ জন। এতে লোকমান হোসেনসহ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক, সাবেক এমডি মশিউর রহমান চৌধুরীসহ আগের মামলার অনেকেই এ মামলার আসামী।
সান নিউজ/এসএ