নিজস্ব প্রতিবেদক : পুরানো জাহাজ নতুন করে ব্যবহারের উপযোগী করে তৈরি করা শিল্পে বিশ্বে শীর্ষ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে বিশ্বের অর্ধেকের বেশি পুরানো জাহাজ ব্যবহারের উপযোগী করে তৈরি হয়েছে এ দেশে। এ শিল্পখাতে বাংলাদেশের পরে রয়েছে ভারত ও তুরস্ক। এ তিন দেশ মিলে ২০১৯ সালে বিশ্বের ৯০.৩ শতাংশ জাহাজ রিসাইকল করে।
বৃহস্পতিবার ( ১২ নভেম্বর) জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা আংকটাড প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
রিভিউ অব ম্যারিটাইম ট্রান্সপোর্ট ২০২০ শীর্ষক প্রতিবেদনটিতে এসব তথ্য নেওয়া হয় ক্লার্কসনস রিসার্চ থেকে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৪.৭ শতাংশ জাহাজ রিসাইকল করে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারত রিসাইকল করে ২৬.৬ শতাংশ, তৃতীয় স্থানে থাকা তুরস্ক রিসাইকল করে ৯ শতাংশ, চতুর্থ স্থানে চীন রিসাইকল করে ৩.১ শতাংশ এবং পঞ্চম স্থানে থাকা পাকিস্তান রিসাইকল করে ২.২ শতাংশ। বাকি বিশ্ব রিসাইকল করে মাত্র ৪.৪ শতাংশ।
একটি জাহাজ ভেঙে টুকরা টুকরা করে সব সরঞ্জাম পুনর্ব্যবহার উপযোগী করাই হচ্ছে রিসাইকল, যা বাংলাদেশে জাহাজ ভাঙা শিল্প হিসেবে পরিচিত। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০১৭ সালের চেয়ে ২০১৮ সালে বাংলাদেশে জাহাজ রিসাইকল বা ভেঙে পুনর্ব্যবহার উপযোগী করার পরিমাণ বেড়েছে ২৯.১ শতাংশ কিন্তু ২০১৯ সালে এসে তা আগের বছরের চেয়ে আবার কমে যায় ২২.৭ শতাংশ।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জাহাজ ভাঙা শিল্প বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সম্ভাবনা। যদিও করোনা মহামারি শুরু হলে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে এ শিল্পও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আংকটাডের প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা শুরু হলে গত মার্চ থেকে লকডাউনের কারণে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে জাহাজ রিসাইকল ক্রমান্বয়ে থেমে যায়। যেমন জুন থেকে ভারতের ইয়ার্ডগুলোতে জাহাজ রিসাইকল করা হয় সক্ষমতার মাত্র ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ।
এর আগে বেলজিয়ামভিত্তিক সংগঠন দ্য এনজিও শিপ ব্রেকিং প্ল্যাটফর্ম জাহাজ ভাঙা শিল্প নিয়ে এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০১৯ সালে বিশ্বে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক জাহাজ ভাঙা হয় বাংলাদেশে। ওই বছর বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ২৩৬টি জাহাজ আমদানি করে টুকরা করার জন্য।
সান নিউজ/এসএ