নিজস্ব প্রতিবেদক : বেশ কয়েক মাস ধরে পেঁয়াজের বাজার চড়া। দেশে পেঁয়াজ নিয়ে দেখা দিয়েছে সঙ্কট। আর তাই সরকারের সহযোগিতায় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। তবে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ কোনোভাবেই ৫৫ টাকার নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
রোববার (১ নভেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে অর্থনীতি বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২০ প্রদানকালে বাণিজ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
এ সময় ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম, দি এশিয়া ফান্ডেশনের কান্ট্রি রিপেজেনটেটিভ কে ফয়সাল বিন সিরাজ, রয়াটার্সের সাবেক বাংলাদেশ ব্যুরো চিফ সিরাজুল ইসলাম কাদির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত বছরে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছিল। ওই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার আগে থেকেই আমরা প্রস্তুত ছিলাম। সংকট সৃষ্টি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরকারের সহযোগিতা পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়। তিন দিন আগে থেকেই পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীদের লাভ, আমদানিকারকদের কমিশনসহ সব খরচ যোগ করে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ভোক্তা পর্যায়ে কোনোভাবেই ৫৫ টাকার নিচে নামিয়ে আনা সম্ভব না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের চাহিদার তুলনায় ৮ থেকে ৯ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজের ঘাটতি হয়। প্রতিবছর সেপ্টেম্বরে এই ঘাটতি দেখা দেয়। যার ৯০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে প্রতিবেশী দেশ ভারত। কিন্তু এখন তাদের দেশে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আজকে কলকাতার বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৭ রুপি, অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৫ টাকা। তার মানে আলু পেঁয়াজের দাম আমাদের দেশেও বেড়েছে তাদের দেশেও বেড়েছে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের বাজারে ভারতের পেঁয়াজের নির্ভরতা বেড়েছে। এখন তাদের সংকট ও দাম বেড়ে যাওয়ায় রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। ভারত আগে থেকে আমাদের কিছু বলেনি, হঠাৎ বন্ধ করে দিয়েছে। তাই গতবার থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি এবার সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নেয়ায় তেমন অস্থিরতা হয়নি।
অর্থনীতি বিটের প্রতিবেদকদের উদ্দেশে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা বলছি আমদানি পেঁয়াজ ৫৫ টাকার নিচে বিক্রি করা যাবে না। এখন আপনাদের অনুসন্ধান করতে হবে এটা আসলেই সঠিক দাম কি-না। আপনাদের সেই তথ্যই আগামী দিনের বাজার শিথিলতায় কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাতের সঙ্গে আমি জড়িত, এক সময় বিজিএমইএর সভাপতি ছিলাম। এই খাতটি সম্পর্কে আমি জানি। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেয়ায় মহামারির মধ্যেও এই খাতটি এখন ঘুরে দাঁড়িয়ে আগের অবস্থানে চলে এসেছে।
ইআরএফ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২০ এ প্রিন্ট মিডিয়ায় ৯ ক্যাটাগরিতে নয়জন এবং টেলিভিশনের ছয় ক্যাটাগরিতে ছয়জনসহ মোট ১৫ জন প্রতিবেদককে পুরস্কার দেয়া হয়েছে। বিজয়ীদের ক্রেস্ট, সম্মাননাসহ নগদ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী সাংবাদিকদের হাতে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও চেক তুলে দেন বাণিজ্যমন্ত্রী ।
সান নিউজ/এম/এস