ত্রিপুরা প্রতিনিধি: ১৯৭১সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারত তথা ত্রিপুরাবাসীর সহযোগিতার স্মৃতিকে স্মরণ করার মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) থেকে আগরতলায় শুরু হয়েছে দুই দিন ব্যাপি ভারত-বাংলা পর্যটন উৎসব।
উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, বাংলাদেশের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শাহিদ, ত্রিপুরা সরকারের পর্যটন দফতরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায়, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের সহকারি হাই কমিশনার কিরীটি চাকমা প্রমূখ।
আব্দুস শাহিদ বলেন, ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের এক কোটিরও বেশী শরণার্থী মানুষকে ত্রিপুরাসহ পুরো ভারতবাসী যে সহায়তা করেছিল, তা ভোলা সম্ভব নয়। পাশাপাশি তিনি পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, সুন্দরবনসহ বাংলাদেশের পর্যটনস্থলগুলো দেখতে যাওয়ার জন্য আহবান জানান ত্রিপুরাবাসীর প্রতি। কারণ সেখানে । পর্যটনের মধ্য দিয়ে মৈত্রীর সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি। উভয় দেশের সীমান্তের মধ্যে থাকা কাঁটাতারের বেড়া মৈত্রীর বন্ধনকে বেঁধে রাখতে পারবে না বলেও উল্লেখ করেন আব্দুস শহীদ।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন কোন বিষয় নয়, এই সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। উভয় দেশের সম্পর্কের কথা বললে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর কথা বলতে হয় এবং ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কথা বলতে হয়। “বাংলাদেশের এক ইঞ্চি জমি ভারত বিরোধী কাজে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না” বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এ থেকে বোঝা যায় ভারতের প্রতি তাঁর অনুরাগ কত বেশী। পাশাপাশি তিনি বলেন ভারতের জন্য চট্টগ্রাম ও আশুগঞ্জ বন্দর খুলে দেওয়া ভারতের আট রাজ্যের ব্যাপক সুবিধা হবে।। পাশাপাশি বাংলাদেশ পাবে মোটা অঙ্কের রেভিনিউ।