নিজস্ব প্রতিবেদক: দুয়ারে কড়া নাড়ছে রমজান। এ বছর রমজান ঘিরে ভোগ্যপণ্যের দাম এখনো অনেকটাই স্থিতিশীল। তবে সংকট রয়েছে ভোজ্য তেলের।
আরও পড়ুন: কমলো সোনার দাম
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মগবাজারের মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, রমজান উপলক্ষ্যে প্রতিটি নিত্য পণ্যের দোকানের সামনে রয়েছে ব্যাপক ভিড়। ক্রেতারা দরদাম করে পণ্য কিনছেন।
দোকানীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ বাজারে বিদেশি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১১০-১১৫ টাকা কেজি দরে। এছাড়া বুটের বেসন ৯০-১৪০ টাকা, খোলা আটা ৪২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্যাকেট আটা ২ কেজি ১০০ টাকা, খোলা চিনির কেজি ১২০ টাকা, দেশি চিনি ১৪৫ টাকা, সয়াবিন এক লিটার ১৭৫ টাকা, দুই লিটার ৩৫০ টাকা ও ৫ লিটার ৮৫০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৩৫ টাকা ও ভারতীয় ১১০ টাকা, চিনি আতপ চাল ১১০-১৩৫ টাকা, মিনিকেট চাল ৬৫-৮০ টাকা, নাজিরশাল চাল ৬৫-৯০ টাকা, আস্ত বুটের ডাল ১২০ টাকা, এঙ্কার ৭০ টাকা, খোলা হলুদ গুঁড়া ৪০০ টাকা, খোলা মরিচ গুড়া ৫০০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা ও বড় পেঁয়াজ ৬৫ টাকা, আদা ১৩০-২০০ টাকা, রসুন ১৫০-২৩০ টাকা, আলু ২৫ টাকা মুড়ি ৮৫ টাকা এবং বিভিন্ন খেজুর ২১০ থেকে ৪৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে ডিম ১৩০ টাকা ডজন, ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকা কেজি, গরুর মাংস ৭৮০ টাকা, ইলিশ ১ হাজার টাকা, পাঙাশ ২৪০ টাকা, বোয়াল ৫০০ টাকা ও বড় রুই মাছ ৪৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান থেকে চাল আসছে বাংলাদেশে
এছাড়া অন্যান্য শাক সবজির মধ্যে প্রতি কেজি টমেটো ৩০ টাকা, দেশি গাজর ৩০ টাকা, শিম ৪০-৫০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৬০ টাকা, কালো গোল বেগুন ৭০ টাকা, শসা ৪০-৬০ টাকা, করল্লা ১০০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মূলা ২০ টাকা, লাল মূলা ৩০ টাকা, শালগম ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, পটল ১৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কচুর লতি ১০০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা ফালি, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, ধনেপাতা ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা জানিয়েছেন, অন্যান্যবার রোজার আগের চেয়ে এবার একটু স্বস্তি রয়েছে বাজারে। বিষয়টির সঙ্গে বিক্রেতারাও একমত হয়েছেন। তারা বলছেন হুট করেই এবার কোনো কিছুর দাম বাড়েনি। যা বাড়ার তা আগেই বেড়েছে।
সান নিউজ/এএন