এস,এম শাহাদৎ হোসইন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধায় ১০০ টাকার বিক্রয় হচ্ছে ১ মণ (৪০ কেজি) ফুলকপি। এ সময় ফুলকপি দাম কম হলেও বিক্রয়ের জন্যও মিলছে না ক্রেতা। এতে বিপাকে পড়েছে কৃষি নির্ভর এ জেলার সবজি চাষিগণ।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) এই দৃশ্য দেখা যায়।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু
এদিকে, কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। তবে বেশি দামে সার ও কীটনাষক ক্রয় সবজি চাষ করে সঠিক মূল্য না পেয়ে বিপাকে পড়েছে কুষক।
কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা যায়, আবহাওয়া অনুকলে থাকায় সবজির ফলন ভালো হওয়ায় সবজির দাম কমেছে। গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া বাজারে শীতকালের সবজি ফুলকপি বিক্রয় করতে এসে বিপাকে পড়েছেন কচুয়া গ্রামের শরিফ হোসেন। (৩০-৪০) টাকা কেজি ফুলকপি ৭ দিনের ব্যবধানে বিক্রয় করতে হচ্ছে ৪-৫ টাকা কেজি দরে। বাজারে ফুলকপি বিক্রয় করার পরে শ্রমিকের খরচ তোলা সম্ভব হচ্ছে না।
একই গ্রামের জমিদুল মিয়া বলেন, অনেক কষ্ট করে মুলা চাষ করেছি। সার, পানি সব দেয়ার পরে ফলন বেশ ভালো হয়েছে। কিন্তু মুলা বিক্রয় করতে এসে বিপদে পড়েছি। ২ টাকা কেজিতেও কেউ মুলা নিচ্ছে না।
ফলন ভালো হওয়ায় ফুলকপির দাম কমার কথা জানা সাঘাটা উপজেলার গাছাবাড়ী গ্রামের সুমন মিয়া। তিনি বলেন, দুই বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। ফুলকপি চাষে খরচ হয়েছে (৫০-৬০) হাজার টাকা। তবে ফুলকপি বিক্রয় করে খরচের টাকা তোলা সম্ভব হবে না।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের বাজারে স্বস্তি
বোনারপাড়া বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মিঠু মিয়া বলেন, ৭ দিনের ব্যবধানে সবজির দাম অনেক কমেছে। গত ৭ দিন আগে ফুলকপি ছিল (২০-২৫) টাকা কেজি। বাঁধাকপি ছিল ২০ টাকা পিস। আলু (৬০-৭০) টাকা কেজি। শনিবার সেই ফুলকপি বিক্রয় হচ্ছে (৪-৫) টাকা কেজি, বাঁধাকপি (৭-৮) টাকা পিচ, আলু ৪০ টাকা কেজি এবং মুলা (২-৩) টাকা কেজি।
সান নিউজ/এমএইচ