নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে ভোজ্যতেলের বাজারে কয়েকদিন ধরে চলা ‘অস্থির’ অবস্থার মধ্যে দিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেল ও খোলা তেলের দাম প্রতি লিটারে ৮ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দীন বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
বর্তমানে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম হবে ১৭৫ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৫৭ টাকা। এর আগে বোতলজাত তেল ১৬৭ টাকা ও খোলা তেল ১৪৯ টাকা ছিলো।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, দেশে বেশ কিছুদিন ধরেই বাজারে তেলের ঘাটতি রয়েছে, এই নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে,
এতে ভোক্তারাও অস্বস্তিতে রয়েছে। সেই জন্য আমরা তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে বৈঠক করেছি। এ সময় তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে আশা করি বাজারে আর তেলের সরবরাহার ঘাটতি হবে না।
তিনি বলেন, গত এপ্রিল মাসে সয়াবিন তেলের ১৬৭ টাকা দাম নির্ধারণ করা হয়েছিলো। এরপর এখন পর্যন্ত বিশ্ববাজারে দাম অনেকটাই বেড়েছে। যেই কারণে দেশে স্থানীয় মজুদদারি বেড়েছে। তবে এই তেলের পযাপ্ত মজুদ রয়েছে। এ সময় অনেকে কিনে মজুদ করেছে। তবে এটি ভোক্তা অধিদপ্তরের মাধ্যমে আমরা মনিটরিং করছি। কোম্পানিগুলোর সাথে কথা বলে এখন একটি যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। এখন আর সমস্যা হবে না।
এ সময় ভোজ্যতেল সরবরাহকারী কোম্পানিরগুলোর সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা হায়দার জানান, দেশে কয়েকদিন থেকে আমারা কীভাবে এই তেল সরবরাহ নিশ্চিত করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করেছি। এদিকে বিশ্ববাজারে প্রতি টন তেলের দাম ১২০০ ডলারে উঠেছে।
আরও পড়ুন: গ্যাসের নতুন দাম জানা যাবে বিকেলে
গত এপ্রিলে সরকার যখন এই তেলের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিলো, তখন বিশ্ববাজারে প্রতি টন তেলের দাম ছিলো ১০৩৫ ডলার। বর্তমানে আমরা ১১০০ ডলার ধরে লিটারে ৮ টাকা দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
উপদেষ্টা বলেন, যদিও এখন প্রতি টন তেল ১২০০ ডলারে খালাস হচ্ছে। এতে আরও দাম বাড়তে পারে, সেই উদ্বেগ এখনো রয়ে গেছে। কারণ বিশ্ববাজার এখনো স্থিতিশীল নয়।
এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, দেশে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা স্থিতিশীল হচ্ছে। তবে আলুর দামে চরম অস্থিরতা এখনো আছে। তবে সেটাও নতুন আলু উঠলে ২-৩সপ্তাহের মধ্যে কমে আসবে বলে আশা করছি।
সান নিউজ/এমএইচ