নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে গরুর মাংস, মাছ-ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় প্রতিটি দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি এতে মধ্য ও নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। কিন্তু এ সময় ব্রয়লার মুরগির দাম কমে আসায় তারা কিছুটা স্বস্তিতে আছে। এদিকে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৬৫ টাকায়, যা গত ১মাস আগেও ছিল ২০০ টাকার মধ্যে। এতে বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় এর দাম কম থাকায় দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়।
আরও পড়ুন: শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ সকল তথ্য জানা যায়।
বাজার দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগির প্রতিটি দোকানেই মাংস বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজিতে। এ সময় কেউ কেউ ১৬৫ টাকা দাম চাচ্ছেন, তবে ক্রেতার মনোভাব বুঝে তারা আবার ১৬০ টাকা করেই বিক্রি করছেন। এতে শুধু ব্রয়লার নয়, পাকিস্তানি লেয়ার মুরগি, সোনালি জাতের মুরগির দামও অনেকটিই কমে এসেছে। এ সময় প্রতি কেজি সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে (২৫০-২৬০) টাকা, যা ১ মাস আগেও (৩০০-৩১০) টাকা কেজি। এছাড়াও, সকল বাজারে পাকিস্তানি লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা কেজিতে।
আরও পড়ুন: হাজার টাকা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেই
অপরদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম কমে আসায় স্বস্তি মিলেছে দেশের মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোতে। এ সময় ১ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানান, আমরা যারা গরীব মানুষ আছি, আমরা চাইলেইতো আর গরুর মাংস খেতে পারি না। আমাদের জন্য মুরগির মাংসের দামটা নাগালে থাকলে এটাই হয়ে উঠে গরুর মাংস। তবে এই মুরগির দাম বেড়ে গেলেই এটি আর ঠিকমতো খাওয়া হয়ে উঠে না।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার ব্রয়লার মুরগি ১৬৫ টাকা দিয়ে কিনেছি, আমার কাছে এখন মনে হচ্ছে এটাই এ বছরে সর্বনিম্ন দাম। সব সময় যদি এই মুরগির দাম এর মধ্যে থাকলে আমরা অনেক খুশি।
বাজারে আসা ১ শিক্ষার্থী জানান, রাজধানীতে আমরা যারা বিভিন্ন মেসে থেকে পড়াশোনা করি, এ সময় আমাদের অনেকটাই মুরগির মাংসের উপরই নির্ভরশীল থাকতে হয়। কিছুদিন আগে মুরগির দামটা বেড়ে গিয়েছিল, এতে আমরাও একটু অস্বস্তিতে ছিলাম। কিন্তু এখন দেখছি আবার দামটা কমেছে। আমি মনে করি এখনের মুরগির দামটাই ঠিক আছে। ব্যবসায়ীরা চাইলেই এ দামে বিক্রি করতে পারেন, তবে সুযোগ বুঝে তারা গণহারে পাবলিকের পকেট কাটতে শুরু করে।
আরও পড়ুন: চিনির দাম কমলো
এই দাম প্রসঙ্গে মুরগির মাংস বিক্রেতারা বলেন, বিগত কয়েকদিনে দেমে ব্রয়লার মুরগির দামটাও একটু কম। এতে মাস দুয়েক আগে ১ বার ১৭০ টাকা পর্যন্ত আসছিলো, তবে এরপর আবার দামটা বেড়ে যায়। যা গত মাসেও ২০০ টাকার বেশি ছিলো, শুক্রবার আবার কেজি প্রতি মুরগি (১৬০-১৬৫) টাকা করে বিক্রি করছি।
তিনি আরও জানান, আমরা যদি মুরগি কম দামে কিনতে পারি, তাহলেই এটি কমে বিক্রি করতে পারি। যদি এর দামটা কম থাকলে আমাদের জন্যও ভালো, কারণ মুরগির বেশি দাম থাকলে তখন বিক্রিও খুব সীমিত হয়। কিন্তু এখন দাম কম, এর ফলে বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর।
সান নিউজ/এমএইচ