নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী (২০২৪-২৫) অর্থবছরের জন্য জাতীয় সংসদে সরকারের অর্থ বিল পাস হয়েছে। এ সময় স্পিকারের আহ্বানে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এই বিলটি উত্থাপন করেন এবং পরবর্তীতে কন্ঠভোটে এই বিলটি পাস হয়।
আরও পড়ুন: বাজেট মোটেও উচ্চাভিলাষী নয়
শনিবারের (২৯ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। এই দিন বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা জি এম কাদের। এর পরে (২০২৪-২৫) অর্থবছরের জন্য প্রণীত বাজেটের ওপর সমাপনী বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী (২০২৪-২৫) অর্থবছরের বাজেট আমরা এমন ১ সময়ে প্রণয়ন করছি যখন (রাশিয়া-ইউক্রেন) যুদ্ধ চলমান, মধ্যপ্রাচ্য সংকটসহ নানা বৈশ্বিক সংকটের কারণে বিশ্বের বাকি দেশের ন্যায় বাংলাদেশও মূল্যস্ফীতিসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। এ জন্য এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নকে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মুদ্রানীতিতে ইতোমধ্যে সংকোচনমূলক নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এই নীতিতে সুদহার (রেপো) উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়িয়ে ৮.৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে এবং ব্যাংক সুদের হার সম্পূর্ণরূপে বাজারভিত্তিক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির আন্দোলন ভুয়া
তাছাড়াও রপ্তানি উৎসাহিতকরণ এবং প্রবাস আয়ে গতি সঞ্চারের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডলারের বিনিময় হারের ক্ষেত্রে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়েছে। মুদ্রানীতির সংকোচনমূলক উদ্যোগের সাথে মিল রেখে আমরা রাজস্ব নীতিতেও সহায়ক নীতিকৌশল অবলম্বন করেছি, যেমন- বাজেট ঘাটতি হ্রাসকরণ, কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যয় নিরুৎসাহিতকরণ এবং বিভিন্ন খাতে কৃচ্ছ্রসাধনের উদ্যোগ। আমাদের গৃহীত এই সকল নীতি-কৌশলের ফলে আশা করছি আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নেমে আসবে।
এই সময় অর্থবিলের ওপর কয়েকজন সদস্যের আনা কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে এবং বাকিগুলো কন্ঠভোটে বাতিল হয়ে যায়। এর পরে তিনি অর্থবিল পাশের অনুরোধ জানালে স্পিকার তা ভোটে দেয়। এতে উপস্থিত সদস্যদের কন্ঠভোটে পাস হয় অর্থবিল।
সান নিউজ/এমএইচ